দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি
ঢাকার দোহার
যত্রতত্র অনুমোদনহীন গ্যাস সিলিন্ডারের গোডাউন ঘটতে পারে দুর্ঘটনা
![](/templates/web-ps/images/news-logo.jpg?v=4)
ঢাকার দোহারে নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে জনবহুল আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠেছে এলপিজি (তরলিকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস) সিলিন্ডারের গোডাউন। ফলে বিস্ফোরণ ঝুঁকিসহ অগ্নি দুর্ঘটনা শঙ্কা বিরাজ করছে জনমনে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকার দোহারের জয়পাড়া বাজারসহ আরো বেশ কয়েকটি স্থানে বিশাল গ্যাস সিলিন্ডার গোডাউনসহ উপজেলার লটাখোলা নতুন বাজার ব্রিজের পূর্বপাশে, বটিয়া, মেঘুলা বাজার, নারিশা বাজার, শ্রীকৃষ্ণপুরে রয়েছে বেশ কয়েকটি অনুমোদনহীন ও লাইসেন্স নবায়ন নেই এমন গোডাউন। উপজেলার কার্তিকপুর এলাকায় জয়নাল আবেদিন নামে এক ব্যক্তির বাড়ির ভেতরেই সন্ধান মেলে গ্যাস সিলিন্ডারের আরো একটি গোডাউন। এসব গোডাউনে মজুদ রয়েছে শত শত এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার।
সরেজমিন জানা যায়, মেঘুলা বাজারের ইব্রাহিম মোল্লা অনুমোদন ছাড়াই গড়েছেন গোডাউন। নেই অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা। শ্রীকৃষ্ণপুরের রাশেদুল ইসলামও দেখাতে পারেননি বৈধ কোনো কাগজ।
এছাড়া দোহারের অধিকাংশ মুদি দোকান ও অন্যান্য বিপণী বিতানের সামনেও জড়ো করে রাখা হচ্ছে ৮ থেকে ১০টি করে গ্যাস সিলিন্ডার। তবে এলপিজিসহ দাহ্য পদার্থ বিক্রিতে এদের অধিকাংশেরই নেই কোনো ছাড়পত্র। অগ্নি দুর্ঘটনা ঝুঁকি এড়াতে গ্যাস সিলিন্ডার গোডাউন আবাসিক এলাকা থেকে অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
ঢাকা জেলার ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর তানভির ইসলাম বলেন, আমরা মাঝেমধ্যেই তাদের সতর্ক করি। মূলত বিস্ফোরক অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স কীভাবে দেয় আমরা ঠিক জানি না। তবু আমাদের মনিটরিং আরো জোরদার করা হবে।
দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। আপনাদের কাছে জানতে পারলাম। যারা আইন অমান্য করে ব্যবসা করছে এবং অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডারের গোডাউন করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
"