মহাকবি কায়কোবাদের ১৬৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকার নবাবগঞ্জে গুণীজন সম্মাননা দিয়েছে মহাকবি কায়কোবাদ স্মৃতি সংসদ। এতে তিনজনকে মরণোত্তর কায়কোবাদ পদক এবং পাঁচজনকে গুণীজন সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার মহাকবি কায়কোবাদ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সভাকক্ষে এ অনুষ্ঠান করা হয়। একই সঙ্গে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ দারু। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু।

মরণোত্তর কায়কোবাদ পদক প্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ খান মজলিশ, বাংলাদেশ ফুড অ্যান্ড সুগারের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এস এম নুরুজ্জামান, প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তা শফিউদ্দিন হায়দার। এছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য সংগীতে অনীমা মুক্তি গমেজ, শিক্ষায় অধ্যাপক এস এম মোশারফ হোসেন, সমাজকর্মে বিষ্ণু পদ সাহা, সংস্কৃতিতে আশফাক উদ্দিন মামুন ও কবি মোশতাক আহমেদকে গুণীজন সম্মাননা পদক দেওয়া হয়েছে।

সম্মাননা দান অনুষ্ঠানে আলোচকদের মধ্যে ছিলেন একুশে পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ সেলিম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রাক্তন প্রযোজক জামিউর রহমান লেমন, সরকারি দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজের প্রাক্তন শিক্ষক এস এম মোশারফ হোসেন, আগলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শিরিন চৌধুরী, মহাকবি কায়কোবাদের দৌহিত্র কাজিম আল কুরাইশী, কবির অনুরাগী আজহার উদ্দিন কাজলসহ অন্যরা।

মহাকবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক সেলিম ইব্রাহিম ও সদস্যসচিব এস এম আজাদ রহমান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। পরে বিকেল তিনটা থেকে স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

মহাকবি কায়কোবাদ নবাবগঞ্জের আগলা পূর্বপাড়া গ্রামে ১৮৫৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫১ সালের ২১ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

"