রবিউল ইসলাম, টঙ্গী (গাজীপুর)

  ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

শেষ হয়নি বিআরটি প্রকল্পের কাজ

এরশাদনগরে ময়লার স্তূপ নেই তদারকি, ভোগান্তি

গাজীপুরের টঙ্গী : প্রকল্প এলাকায় বাড়ছে দুর্গন্ধ ও মশার উপদ্রব * বারবার জানালেও উদ্যোগ নেয়নি সিটি করপোরেশন অভিযোগ প্রকল্প কর্মকর্তার * প্রায় সোয়া ৪ হাজার কোটি টাকা প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ

গাজীপুরের চলমান বাস র‌্যাপিট ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ার আগেই নিয়মিত তদারকি না থাকায় প্রকল্প এলাকায় যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে বাসা-বাড়ি ও মার্কেটের ময়লা-আবর্জনা। এতে প্রকল্প এলাকা দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীরা দুর্গন্ধে ভোগান্তি পোহাচ্ছে। যাত্রী ও স্থানীয়রা বলছে, এখনই যদি কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হয় তাহলে সুফল এর চেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

সরজমিনে দেখা গেছে, গাজীপুরের টঙ্গীর এরশাদনগর বিআরটি প্রকল্পের বাস স্টেশনে পাশেই যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুপাশ দিয়ে চলাচলকারী, যাত্রী ও স্থানীয়রা দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন। এছাড়া ট্রাফিক পুলিশরাও দুর্গন্ধ ও মশার উপদ্রবে ঠিকঠাক নিজেদের দায়িত্ব পালনও করতে পারছেন না।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের নিয়মিত চলাচলকারী যাত্রী হাসিবুর রহমান জানান, প্রায় সময় যানবাহনের ধীরগতি দেখা দিলে, এই স্থানে এসে ময়লার দুর্গন্ধে বমি হওয়ার উপক্রম হয়। এই জায়গাটুকুতে দুর্গন্ধের কারণে যানবাহনে চলাচল করতে অনেক কষ্ট হয় তাদের বলে জানান তিনি।

এরশাদনগর বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষমান যাত্রী শান্তা আক্তার বলেন, এই এলাকায় তার বাসা। প্রতিদিন কলেজের জন্য এই বাসস্ট্যান্ডে কলেজের গাড়ির জন্য অপেক্ষা করেন। এই খানে মাঝেমধ্যে এত বাজে র্দুগন্ধ ছড়ায় তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।

ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা এনা পরিবহনের ড্রাইভার শফিকুল ইসলাম বলেন, এরশাদ নগরের এই জায়গাটিতে প্রায় ধীরগতি দেখা দেয়। এ সময় এই বিআরটি বাসস্ট্যান্ডের এখানে ফেলে রাখা ময়লার কারণে দুর্গন্ধ তো আছেই সঙ্গে মশার কামড়ের শিকার হতে হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এরশাদ নগর এলাকার এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্য বলেন, এখানকার ময়লার দুর্গন্ধ সবসময় থাকে না, মাঝেমধ্যে বাজে দুর্গন্ধ থাকে । এখানে ময়লা ফেলার কারণে মশার উপদ্রব বেড়েছে।

বিআরটি প্রকল্পের পরিচালক মহিদুল ইসলাম এ বিষয় বলেন, আমরা বারবারই নিজেদের লোক দিয়ে এই সমস্ত ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করাচ্ছি। সিটি কর্পোরেশনকে বারবার অবগত করলেও তারা বিষয়টি তেমন নজরে নিচ্ছে না। তারা যদি আমাদের একটু সহযোগিতা ও নিয়মিত তদারকি করে তাহলে এই সমস্যাটি আর থাকবে না।

উল্লেখ্য, রাজধানীর সঙ্গে গাজীপুরের যোগাযোগে মানুষের ভোগান্তি দূর করতে ২০১২ সালে নেওয়া হয় বিআরটি প্রকল্প। প্রকল্পের শুরুতে ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৩৯ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সময় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যয়ও বেড়েছে। সর্বশেষ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি ৩২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। প্রকল্পটি ডিসেম্বরের মধ্যে পুরোপুরি খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো শেষ হয়নি প্রকল্পের নির্মাণ কাজ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close