উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া
ফসলের ভাগ দেওয়ার চুক্তিতে সেচের পানি
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বোরো আবাদে সেচ বাবদ অগভীর নলকূপ মালিকরা সরকারি নিয়মে টাকা না নিয়ে ফসলের ভাগ দেওয়ার চুক্তিতে পানি দিচ্ছেন। কিন্তু সেচ বাবদ নলকূপ মালিকদের টাকা নিতে হবে বলে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে টাকা নেওয়ার পরিপত্র জারি আছে। উপজেলার সব এলাকাতেই নলকূপ মালিকরা এ নিয়ম মানছেন না বলে জানা গেছে।
উল্লাপাড়া বিএডিসি (ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প) অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বিদ্যুৎ ও ডিজেলচালিত মিলে ১৩ হাজার ২৭৯টি নলকূপ আছে। এর মধ্যে ১২ হাজার ২৭৯টি অগভীর নলকূপ ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ২৬টি এলএলপি সেচপাম্প মেশিন রয়েছে। বিদ্যুৎচালিত গভীর নলকূপে সেচ বাবদ বিঘাপ্রতি ১৫০০ টাকা, ডিজেলচালিত গভীর নলকূপে বিঘাপ্রতি ২২০০ টাকা, বিদ্যুৎচালিত অগভীর নলকূপে বিঘাপ্রতি ১৭০০ টাকা এবং ডিজেলচালিত অগভীর নলকূপে বিঘাপ্রতি ৪ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন মাঠে এখন পুরোদমে বোরো ধান ফসলের আবাদ শুরু হয়েছে। সেচ মেশিন মালিকেরা আগের নিয়মেই জমির ফসলের ভাগ নেওয়ার মৌখিক চুক্তিতে পানি সেচ দিচ্ছেন। বনবাড়ীয়া, শৈলী, শহরিয়ারপুর, আঙ্গারু, নাগরৌহা, বাখুয়া গ্রামের বিভিন্ন মাঠের বহুসংখ্যক অগভীর নলকূপ চলছে। কোনো কোনো সেচ মেশিন মালিক পাঁচ ভাগের এক ভাগ নয়তো ছয় ভাগের এক ভাগ চুক্তিতে পানি সেচ দিচ্ছেন। আঙ্গারু মাঠে পনেরো থেকে বিশটি অগভীর নলকূপ বোরো ফসলের আবাদে পানি সেচে চলছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা সেচ মেশিন মালিক আলম হোসেন জানান, তিনি ছয় ভাগের এক ভাগ চুক্তিতে পানি সেচ দিচ্ছেন। গত কয়েক বছরের মতো এবারেও ফসলের ভাগ নেওয়ার চুক্তিতে জমিতে পানি সেচ দিচ্ছেন। একই মাঠের অন্য সেচ মেশিন মালিকরা সেচ বাবদ টাকা নিলে তিনিও জমিতে পানি সেচ বাবদ টাকা নেবেন বলে জানান।
শৈলী গ্রামের কৃষক ইমান আলী ও গফুর আলী বলেন, বোরো ধান আবাদে জমিতে পানি সেচ বাবদ ফসলের ভাগ নেওয়া অনেক আগে থেকেই চলে আসছে।
বিএডিসি (ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প) উল্লাপাড়া জোনের সহকারী প্রকৌশলী ও উপজেলা সেচ কমিটির সদস্য সচিব শাহী আমিন বলেন, সড়াতৈল মাঠে সেচ বাবদ ফসলের ভাগ নেওয়ার পায়তারা বিষয়ে কৃষকদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর সে মেশিনে টাকা নিয়ে পানি সেচ দেওয়া বাধ্যতামূলক ফয়সালা করে দেওয়া হয়েছে। অচিরেই সেচ বাবদ টাকা নেওয়ার জোরালো প্রচারণা চালানো হবে।
"