চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

টিউশনের টাকা জমিয়ে গরুর খামার শামীমের

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা জমিয়ে গরুর খামার করেছেন শামীম রানা (২৫)। তার বাড়ি উপজেলার হাজীপাড়ায়। টিউশনি করিয়ে বাবাকে সহযোগীতা সহ স্নাতকের পড়াশুনার খরচও চালিয়ে যেতে হয়েছিলো শামীমকে। ৪০ হাজার টাকা জমিয়ে একটি দেশি গরু দিয়েই প্রথমে শুরু করেন খামার। এখন স্বাবলম্বী হয়ে বেশ ভালই আছেন বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, শামীম উচ্চ মাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়ে পরিবারের দারিদ্রতায় শুরু করেন টিউশনি। পড়াশোনার খরচের পাশাপাশি ৪০ হাজার টাকা জমিয়ে একটি দেশি গরু দিয়েই প্রথমে শুরু করেন খামার। পরে বিক্রি করেন ৫৫ হাজার ৫০০ হাজার টাকা। পরের বছর সেই টাকার সঙ্গে আরো ২০ হাজার টাকা যোগ করে দুইটি গরু ক্রয় করেন। সেই গরু বিক্রি করেন দ্বিগুন দামে। সাহস পেয়ে পরের বছর চারটি গরু কেনেন শামীম। প্রতি বছর নিজের খামার কে এভাবেই বড় করেছেন এই শিক্ষার্থী।

সরেজমিনে খামারে দেখা গেছে, নিজ বাড়ির উঠানে একটি ঘর তুলে দুই সেডে ভাগ করে একটি খামার তৈরি করেছেন। খামারটি তৈরিতে এ পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ টাকা। তার খামারে বর্তমানে দেশি-বিদেশি জাত সহ ৯টি গরু আছে। দুগ্ধ খামারের পাশাপাশি দেশি ষাঁড় পালন করে প্রতি মাসে প্রায় ৩০ হাজার টাকা আয় করেন। গো-খাদ্যের পর্যাপ্ত জোগান নিশ্চিত করতে নিজের একটি জমিতে নেপিয়ার ঘাস চাষ করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা জহরুল ইসলাম বলেন, শামীম অত্যন্ত ভালো একজন খামারি। সে গরুর খামার করে দিনদিন লাভবান হচ্ছেন। তার গরুর খামার দেখে এলাকার অধিকাংশ বেকার ছেলেরা খামার করতে উৎসাহ পাচ্ছে।

খামারী শামীম রানা জানান, পরিবারের আর্থিক অভাবের মধ্যে দিয়ে এইচএসসি পাশ করার পর টিউশন শুরু করি পরে সেই টাকা দিয়ে নিজের পড়ালেখা সহ কিছু টাকা জমিয়ে একটি দেশি জাতের গরু পালান করা শুরু করি। পর্যক্রমে মূলধন বৃদ্ধি পাওয়ায় একটি দুটি থেকে এখন আমার খামারে ৯ টি গরু আছে । তবে বর্তমানে গো খাদ্য সহ অন্যন্য জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মাঝে মধ্যে হিমশিম খেতে হয়। সরকারি সহযোগীতা সহ উন্নত প্রশিক্ষণ পেলে খামারটি আরো বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close