ফরিদপুর প্রতিনিধি

  ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মথুরাপুর উচ্চবিদ্যালয়

পিলারেই পার আড়াই বছর মাটির স্তূপে বন্ধ খেলাধুলা

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার মথুরাপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ কাজের জন্য কয়েক বছর আগে পিলার নির্মাণের সময় তোলা হয়েছিল মাটি। সেই মাটি স্তূপ করে রাখা হয় বিদ্যালয় খেলাধুলার মাঠে। এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় ভবন নির্মাণ কাজ। আর সরানো হয়নি সেই মাটি। এখন এই মাটির স্তূপের কারণে বিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীদের খেলাধুলা বন্ধ।

জানা গেছে, মথুরাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয় ১৮৫২ সালে। প্রায় সাত শতাধিক ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছে এ দুইটি বিদ্যালয়। এর মধ্যে মথুরাপুর উচ্চবিদ্যালয়ে রয়েছে প্রায় ৪৫০ শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়টির স্থান সংকুলান না হওয়ায় এর মাঠের দক্ষিণ প্রান্তে দেড় বছর আগে শুরু হয় আরো একটি ভবন নির্মাণ কাজ। পিলার নির্মাণের জন্য মাটি খুঁড়ে রাখার পরে ৬ মাস কেটে যায় পিলার ঢালাইয়ে। এরপর মাটির নিচে আরসিসি পিলার স্থাপনের পর বালির বদলে মাটি দিয়েই ভরাট করা হয় গর্তগুলো। এরপর বছরখানেক চলে গেছে। ভবন নির্মাণকাজ আর এগোয়নি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মাঠে মাটির উপরে পিলারের রডে জং ধরেছে। আর গর্ত খুঁড়ে তুলে রাখা অবশিষ্ট বালি সেইভাবেই প্রায় এক বছর ধরে পড়ে আছে মাঠে। ফলে এখন মাঠে ছেলেমেয়েদের খেলাধুলা বন্ধ।

মথুরাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুকুমার চক্রবর্তী জানান, প্রায় আড়াই বছর আগে ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয়ের একতলা ভবন নির্মাণ কাজের টেন্ডার হয়। মধুখালীর সিরাজুল ইসলাম নামে একজন ঠিকাদার কাজটি পান। এরপর বছর খানেক আগে কাজ শুরু হয়। পিলারের মাটির নিচের অংশ ভরাটের পর আর কাজ এগোয়নি। সেই থেকে মাটির স্তূপ পড়ে আছে মাঠে। শুনেছি আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কাজ আবার শুরু হবে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বালির পরিবর্তে মাটি দিয়ে পিলার ভরাট করায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তবে এ কথা সঠিক নয় দাবি করে প্রধান শিক্ষক সুকুমার চক্রবর্তী বলেন, এলাকার কারো কারো স্বার্থ থেকে হয়তো একথা বলতে পারে। তবে যেখানে বালি দেয়ার কথা সেখানে বালিই দিয়েছে। আর মাটির জায়গায় মাটি।

এদিকে সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে জানতে মথুরাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মে. শহিদুল ইসলাম মিয়া চিকিৎসার কাজে বিদেশে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামনুন আহমেদ অনীক বলেন, বিষয়টি জানা নেই। কোনো শিক্ষক আমাকে এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। খোঁজখবর নিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close