চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

  ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

চৌদ্দগ্রামে অভিযোগ

চার বছরে হয়নি বিদ্যালয় ভবন নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে একটি বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারসহ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। উপজেলার ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম বাকগ্রাম কাজী আহম্মদ আলী উচ্চবিদ্যালয়।

জানা গেছে, ২০১৯ সালে ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বাকগ্রাম কাজী আহম্মদ আলী উচ্চবিদ্যালয়ে একটি ভবন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ পায় কুমিল্লা আদর্শ সদরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আরশাদ অ্যান্ড সন্স। তবে মাঠ পর্যায়ে সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ করছে আলকরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক হেলালের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

এদিকে উপ-সহকারী শিক্ষা প্রকৌশলী মো. রুবেল মিয়া মেসার্স আরশাদ অ্যান্ড সন্স কুমিল্লাকে ২০২৩ সালের ১৩ মে পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকায় একাধিকবার নোটিশ করা হয়।

বিদ্যালয়ের এসএসসি শিক্ষার্থী আবু আখের ও মায়মুনা আকতার বলেন, পাঁচ বছর ধরে ভবনটির নির্মাণ কাজ চলছে। সঠিক সময় কাজ শেষ না হওয়ায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুরুল ইসলাম চৌধুরী ও জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নতুন ভবনটির নির্মাণ কাজ করছে। নির্মাণসামগ্রী ও কাজের মানের বিষয়ে বিভিন্ন সময় অভিযোগ করায় তিনি শিক্ষকদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।

প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান জানান, তিনি এখানে নতুন এসেছেন। আসার পর থেকেই দেখছেন ধীরগতিতে চলছে নতুন ভবনের নির্মাণের কাজ। ভবন নির্মাণে বিলম্ব হওয়ায় স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়াসহ নানা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।

আলকরা ইউপি চেয়ারম্যান মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্কুল ভবনের নির্মাণ কাজে সিলেকশান বালুর বালু ভিটি বালু দিয়ে ছাদ ঢালাই দিয়েছে ঠিকাদার। ঢালাইতে সঠিক পরিমাণে সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়নি। দুই-তিন নম্বর ইট দিয়ে দেয়ালের গাঁথুনি নির্মাণ করেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভবন পরিদর্শন করে দেখেছেন, কাজের মান অত্যন্ত খারাপ।

ঠিকাদার গোলাম ফারুক হেলাল জানান, ২০১৮ সালের কাজটি কোভিড-১৯ এর কারণে কিছুদিন বন্ধ ছিল। পরে আবার কাজ শুরু হয়। নির্মাণসামগ্রীর মূলবৃদ্ধির ফলে কাজের মান ঠিক রাখা বেশ মুশকিল হচ্ছে। তারপরও গুনগত মানের বিষয়ে ছাড় দেয়নি। অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে কাজ চলে।

কুমিল্লার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলী ইমাম বলেন, কোভিড এর কারণে কাজে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ করা হয়েছে। গুণগত মান ঠিক রেখে দ্রুত কাজটি শেষ করার বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close