চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় ১০৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৫৭টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদ ভারপ্রাপ্তদের দিয়েই চলছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকটের কারণে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

লোহাগাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ১০৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যার ৪টি ক্লাস্টারে ভাগ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫ হাজার ২৬৪ জন। ১০৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। এতে শিক্ষার কার্যক্রম চালাতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।

চরম্বা রাজঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গৌতম দাশ জানান, শিক্ষক সংকটের কারণে অনেক শিক্ষার্থীর পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত এসব শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ না দিলে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের সঠিক পাঠদান দেওয়া সম্ভব হবে না। তিনি আরো জানান, একজনে দুটি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাদের

অনেক কষ্ট হয়। তাই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হলে শিক্ষার মান ত্বরান্বিত হবে।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি লোহাগাড়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক নেতা শেখ জহির মুহাম্মদ বশির জানান, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক নেই সেগুলোতে অচিরেই প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া জরুরি। কারণ সহকারী শিক্ষিকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের সময় অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। লোহাগাড়ার ৫৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিলে শিক্ষার মান বাড়বে। একটি স্কুলে প্রধান শিক্ষক না থাকলে স্কুলের শিক্ষাব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ে।

পদুয়া ওয়াডবারি সরকারি প্রথথমিক বিদ্যালয়ের সহসভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, সহকারী শিক্ষক দিয়েই চলছে বিদ্যালয়। যিনি প্রধান শিক্ষকের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকেন তিনি সব সময় স্কুলের খাতাপত্র নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। সে কারণে তিনি ছাত্রছাত্রীদের পাঠদানে সময় দিতে পারেন না।

লোহাগাড়া উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম মনির উদ্দিন জানান, ৫৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। ওইসব স্কুল তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।

"