ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
ভৈরবের কিশোরগঞ্জ
খিরার ভালো দামে খুশি কৃষক, বাড়ছে আবাদ
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, ভৈরবে এ বছর ৩৫ হেক্টর জমিতে খিরার আবাদ হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় বেশি * ৫০ থেকে ৬০ দিনেই পাওয়া যায় অধিক ফলন
আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আর কম সময়ে অধিক ফলন ও দাম ভাল পাওয়ায় ভৈরবে খিরা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। তাই খিরা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। কৃষকরা বলছেন খিরা চাষে সরকারি সহযোগিতা পেলে আবাদ আরো বাড়বে। অল্প সময়ে ফলন পেয়ে ভালো লাভ হওয়ায় খিরা আবাদে কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে। খিরা লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই এর আবাদ বাড়ছে বলছেন কৃষি কমকর্তা।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে শিমুলকান্দি ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামে বাড়ছে উচ্ছ ফলনশীল জাতের খিরা চাষ। মাত্র ৫০ থেকে ৬০ দিনেই অধিক ফলন পাওয়া যায়। তাই শীতের মৌসুমে খিরা চাষে আগ্রহী হন এখানকার কৃষকরা। রোপণের মাত্র ২ মাসের মধ্যেই ফলন উত্তোলন শেষ করা হয়। বিঘা প্রতি ১০/১২ হাজার টাকা খরচ করে খেত বিশেষে বিক্রি করা যায় ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা। এখানকার পলি দোআঁশ মাটি খিরা চাষে খুবই উপযোগী। গত বছরের তুলনায় এ বছর উপজেলায় ৩৫ হেক্টর জমিতে খিরার আবাদ হয়েছে। এক ফসলি জমিগুলোতে ধান চাষের আগে খিরা আবাদ করে বাড়তি এ লাভ কৃষকদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে। মনপ্রতি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা। তাই এ অঞ্চলের চাষিদের মধ্যে বেড়েছে খিরার আবাদ। পাইকাররা কৃষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খিরা কিনে দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে খুচরা এবং পাইকারি বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।
কৃষক মামুনুর রশিদ, হেলাল মিয়া, জীবন মিয়া ও স্বপন মিয়া জানান, তাদের এলাকাতে আগের চেয়ে বর্তমানে খিরার আবাদ অনেক বাড়ছে। এলাকায় খিরার আবাদ অনেক ভালো হয়। বিঘাপ্রতি ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। বিক্রি করা যায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।
ব্যাপারী খোরশিদ মিয়া বলেন, প্রতিদিন কৃষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ মণ খিরা কিনছি। এতে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা লাভ হয়।
ব্যাপারী এনামূল হক বলেন, এ গ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে আজকের বাজারে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে মাল কিনে সাড়ে ৯০০ থেকে হাজার টাকা মণ বিক্রি করছি। আর খুচরা বিক্রি করছি ৩০ টাকা কেজি দরে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম বলেন, ভৈরবে এ বছর ৩৫ হেক্টর জমিতে খিরার আবাদ হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় বেশি। মাঠ পর্যায়ে আমাদের যে সকল উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আছেন তারা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। যাতে করে খিরাসহ বিভিন্ন শাক সবজি উৎপাদন করতে পারে। খিরার রোগবালাই ও পোকাণ্ডমাকড় কম হওয়ায় খুব কম সময়েই ফলন পাওয়া যায়। এ বছর খিরার চাহিদা ও বাজার মূল্য ভালো থাকায় কৃষকরা বেশ লাভবান হয়েছেন।
"