ঠাকুরগাঁও রানীশংকৈলের জাতীয় শ্রেষ্ঠ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণিতে ভর্তি বিলম্বিত করায় অভিভাবক মহলে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। গত রবিবার সরেজমিনে দেখা যায়, শতাধিক অভিভাবক বিদ্যালয়ে জড়ো হন। একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে অভিভাবকদের উত্তেজনা সৃষ্টি হলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ঘ্যানশ্যাম রায়।

পরে অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক নিজ ক্ষমতার বলে ভর্তি বিলম্ব করছে। আমরা সন্তানদের ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। অন্য প্রতিষ্ঠানের ভর্তি প্রায় শেষের দিকে। ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণির ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্র করছে প্রধান শিক্ষক বলেও উপস্থিত অভিভাবকরা মন্তব্য করেন।

সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিউটি আক্তার অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছেলিমা আক্তার স্কুলের স্টাফ মিটিংয়ে বলেন এবার তিনি ৬ ষষ্ঠ শ্রেণিতে কোনো ছাত্র ভর্তি করাবেন না। প্রধান শিক্ষকের এমন মন্তব্য নিয়ে সহকারী শিক্ষকরা এর বিরোধিতা করেন।

বিদ্যালয়ের সাবেক দুবারের ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সদস্য ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ঘ্যানশ্যাম রায় ও নির্বাহী কর্মকর্তার সামনেই অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে কোচিং বাণিজ্য ও তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়েই মূলত গ্রুপিংয়ের সৃষ্টি হয়েছে। বিধায় স্কুলটির শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছেলিমা আক্তার দায় চাপাচ্ছেন শিক্ষা ব্যবস্থার নতুন কারিকুলামের ওপর।

অপরদিকে, বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য নওরোজ কাউসার কানন সহকারী শিক্ষক ধীরেন্দ্রনাথের সম্পর্কে অভিযোগ করেন, তিনি এই স্কুলে যোগদানের পর থেকেই অনেক গরিব অসহায় অভিভাবককে হয়রানি করেই চলেছেন।

জানতে চাইলে রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন, আমি বাগবিতণ্ডার খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি। শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে এবং শিক্ষকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

"