হরিরাপমপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর
পিলারের ওপর বাঁশের সাঁকো ১০ বছরেও হয়নি সেতু
* সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে অনেকে * বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো দিয়ে পার হচ্ছে এলাকাবাসীসহ শিক্ষার্থীরা
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে ইছামতী নদীর ওপর নির্মিত আরসিসি পিলারের ওপরে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে গ্রামবাসী। ১০ বছর আগে উপজেলার খলিলপুর গ্রামের মাঝামাঝি ইছামতি নদীর ওপর আরসিসি পিলারের ওপর কাঠের পাটাতন দিয়ে তৈরি করা হয় ওই বাঁশের সাঁকো। এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে এটির কাঠ নষ্ট হয়ে যায়। স্থানীয়রা ওই সাঁকো তৈরি করে চলাচলের উপযোগী করে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পারাপারে ঝুঁকি থাকায়, বৃদ্ধ, স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও গর্ভবতী মায়েদের পারাপার নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার জন্য দীর্ঘ পথ ঘুরে মূল সড়কে উঠতে হয়। ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো দিয়ে যাত্রাপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী যাতায়াত করে থাকে প্রতিনিয়ত।
স্থানীয়রা জানান, বাঁশের সাঁকো পার হতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনায় পড়তে হয়। ইতিপূর্বে পশ্চিম খলিলপুর গ্রামের হারেজ মিয়া এ সাঁকো থেকে নিচে পরে গেলে তার হাত ভেঙ্গে যায়। এলাকার এক ছাত্র সাঁকো থেকে ছিটকে পড়ে গেলে তার দাঁত ভেঙে যায়। এদিকে উপজেলার সবচেয়ে বড় বিল ‘ভাতশালা’ হতে খাদ্য শস্য কেনা বেচা ও পরিবহনে সমস্যায় পড়ছেন স্থানীয় কৃষকেরা। এ সাঁকোর কারণে দীর্ঘ পথ ঘুরে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে পণ্য পরিবহণ ব্যায় বেড়ে যায়। ইতিপূর্বে উপজেলার যাত্রাপুর ও খলিলপুর গ্রামকে সংযোগকারী ইছামতী নদীর উপর সেতু নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী।
যাত্রাপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আইয়ুব আলী জানান, উপজেলার খলিলপুর ও আগ্রাইল থেকে আসা শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। এমনকি সাঁকো থেকে পড়ে এক শিক্ষার্থীর পাঁ ভেঙ্গে গেছে। ইছামতি নদীর ওপর পাকা সেতুর দাবি দীর্ঘদিনের। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়েই সাঁকোতে পার হচ্ছে এলাকাবাসীসহ শিক্ষার্থীরা।
হরিরামপুর উপজেলা প্রকৌশলী মাজহারুল হক আকন্দ জানান, ওইখানে সেতু নির্মাণের জন্য আমাদের সদর দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে যা অফিসিয়াল অনুমতির অপেক্ষায় আছে।
"