সিরাজুল ইসলাম আপন, ভাঙ্গুড়া (পাবনা)

  ০২ এপ্রিল, ২০২৩

কথা রাখেনি কেউ

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সেতুর জন্য আক্ষেপ

পাবনার ভাঙ্গুড়া ও চাটমোহর উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গুমানী নদী ভাটিতে যমুনায় গিয়ে মিশেছে। নদীর এক পারে অবস্থিত ভাঙ্গুড়ার অষ্টমনিষা বাজার। অন্য পারে চাটমোহরের নিমাইচড়া ইউনিয়নের মির্জাপুর হাট। নদীর দুই পারে দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা শুকনো মৌসুমে সাঁকো আর বর্ষা মৌসুমে নৌকা। দুর্ভোগ লাঘবে নদীতে সেতু নির্মাণের দাবি করে আসছেন এলাকাবাসী। তবে স্থানীয় সংস্যের কাছের বার বার দাবি জানানো হলেও শান্ত¡না ছাড়া আর কিছুই পাননি তারা।

জানা গেছে, নদীর উত্তর পাড়ে চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়ন। নদী পাড়েই ইউনিয়ন পরিষদ, ভূমি অফিস, মির্জাপুর ডিগ্রি কলেজ, মাদরাসা, উচ্চ বিদ্যালয়, ব্যাংকসহ বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। মির্জাপুরসহ নিমাইচড়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম এবং মির্জাপুর হাটও নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থিত। সপ্তাহে রবি ও বৃহস্পতিবার দুদিন হাট বসে। কিন্তু সেতুর অভাবে এখন হাটটি বন্ধের উপক্রম। দক্ষিণ পাড়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়ন। এখানেও নদী পাড়েই অষ্টমনিষা ইউনিয়ন পরিষদ, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, হাসিনা মোমিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, অষ্টমনিষা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, অষ্টমনিষা বাজার, পোস্ট অফিসসহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। হাট বাজার, স্কুল কলেজসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত দক্ষিণ পাড়ের মানুষকে উত্তর পাড়ে এবং উত্তর পাড়ের মানুষকে দক্ষিণ পাড়ে যেতে হয়।

অষ্টমনিষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুলতানা জাহান বকুল বলেন, হাট বাজার, স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের নদীর উত্তর পাড়ে যেতে হয়। অষ্টমনিষা ও মির্জপুরের মধ্যবর্তী গুমানী নদীতে সেতু না থাকায় আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গেল বর্ষায় মির্জাপুর গ্রামের এক প্রসূতি প্রসব বেদনায় ভুগছিলেন। তখন রাত ৯টা, নদীতে খেয়া নৌকা না পাওয়ায় চরম বিপদে পড়েন। তখন তাকে নদী পাড়েই একটি বাড়িতে নিয়ে প্রসব করানো হয়।

নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরজাহান বেগম মুক্তি বলেন, মির্জাপুর একটি বড় ব্যবসা কেন্দ্র। নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা মির্জাপুরে অবস্থিত। পাশাপাশি নদীর অপর পাড় অষ্টমনিষাও একটি ইউনিয়ন সদর। এ দুই ইউনিয়নসহ দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষকে নদী পার হতে হয়। উপজেলা সদরে যাতায়াতসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রতিদিন নদী পার হতে হয় আমাদের। সেতু না থাকায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সেতুর জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে বার বার বলে আসছি। সেতু হবে মর্মে শান্ত¡না ছাড়া আর কিছুই পাইনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশল মোছা. আফরোজা বলেন, অষ্টমনিষা-মির্জাপুর সেতুটি গুরুত্বপূর্ণ। তবে কয়েক বছর আগে অষ্টমনিষা থেকে এক কিলোমিটার দূরে হরিহরপুরে একটি সেতুর কাজ কিছুটা হয়েছিল। কিন্তু কি কারণে সেতুর কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আমার জানা নেই। এখন সেতুটির কাজ আবার চালু করার জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।

এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, অষ্টমনিষা-মির্জাপুর সেতুর প্রস্তাবনা পাঠানো আছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। ডিপিপির অন্তর্ভুক্ত হলে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close