জালাল উদ্দিন ভিকু, দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ)

  ১৬ মার্চ, ২০২৩

স্বপ্নের ঠিকানায় গৃহহীনরা

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প

মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে ছিন্নমূল মানুষ এখন খোলা আকাশ কিংবা পরের জমিতে নয়, বাস করবেন আপন ঠিকানায়। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে উপজেলার ২২৩টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে পাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।

শুধু তাই নয় ‘আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দেশের ভূমি ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলার তালিকায় যোগ হতে যাচ্ছে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে, দৌলতপুর উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে দিনরাত কাজ করছেন উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা।

দৌলতপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর ভূমিহীন পরিবার পেয়ে গেছে। উপজেলায় ভূমিহীন ছিল এমন পরিবারকে একটি ঘর ও দুই শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

কথা হয় জিয়নপুর ইউনিয়নের দেপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মিজান শেখ ও মোছা. লাবলী আক্তারের সঙ্গে। তারা উপহারের ঘরের বারান্দায় বসে ছিলেন। তাদের জিজ্ঞাসা করতেই বলেন, ‘ভাই আপনি সাংবাদিক, আমাদের ছবি তুলে শেখের বেটিকে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) পাঠান। তার দেওয়া ঘরে ছেলে-মেয়ে নিয়ে খুব আনন্দে জীবনযাপন করছি।’

কথা হয় কলিয়া ইউনিয়নের টেপরী আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা রিকশাচালক মো. সাগর আলীর সঙ্গে। কথা বলতে কেঁদে ফেলেন তিনি। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাস্তায় দিন কেটেছে তার। স্বপ্নেও ভাবেননি পাকা ঘর ও দুই শতাংশ জমি পাবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের মায়ের মতো কাজ করেছেন। নিজের মতো করে পরিবার নিয়ে ঘরে থাকবেন এর চেয়ে খুশি আর কি হতে পারে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে পাকা ঘর ও দুই শতাংশ জমি দিয়েছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।’

এ বিষয়ে জিয়নপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন জানান, জিয়নপুর ইউনিয়নে ৭৫টি ভূমিহীন পরিবার যারা ছিল তাদের প্রধানমন্ত্রীর উপহারের একটি করে ঘর ও দুই শতক জমি দেওয়া হয়েছে। তার ইউনিয়নে পাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

কলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান জানান, কলিয়া ইউনিয়নে টেপরী বাজার সংলগ্ন এলাকায় ১৪টি পরিবার পাকা ঘর পেয়েছে। তাদের পাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ জানান তিনি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মমিনুর রহমান জানান, ভূমি ও গৃহহীনদের ঘরের কাজ আমি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পর্যবেক্ষণ করেছি। ঘরের গুণগত মান বজায় রেখে তৈরি করা হয়েছে।

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবিদা সুলতানা জানান, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ২২৩টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে পাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। স্বচ্ছতার সঙ্গে উপজেলা প্রশাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে। দৌলতপুর উপজেলাকে ‘ক’ শ্রেণীর ভূমি ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করেছে। দীর্ঘদিন অন্যের জমিতে কষ্টে থাকা এসব লোক নিজস্ব বাড়ি ও স্থায়ী ঠিকানার সুযোগ করে দেওয়ায় উপজেলা প্রশাসন ও উপকারভোগীদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close