সেলিম রানা, ফুলপুর (ময়মনসিংহ)

  ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয়

ময়মনসিংহের ফুলপুরে খড়িয়া নদীর মাঝখানে স্লুইসগেট নির্মাণ করে দুইপাশে মাটি ভরাটের কাজ না করে ১০ বছর ধরে ফেলে রাখা হয়েছে। ফুলপুর উপজেলার ভাইটকান্দি ইউনিয়নের ছোট শুনই গ্রামে খড়িয়া নদীতে ২০১০-২০১১ অর্থ বছরে প্রায় ২৬ লাখ টাকায় নির্মাণ করা হয় এই স্লুইসগেটটি।

জানা গেছে, উপজেলার ছোটশুনই, বড়শুনই, ভাইটকান্দি, গুপ্তেরগাঁও, রামভদ্রপুর, শ্যামপুরসহ নিচু এলাকার অনেক গ্রামই সামান্য বর্ষায় তলিয়ে যায়। ভরা বর্ষায় পানি ব্যাপকভাবে বাড়লে নিকটতর এলাকার বাড়িঘর ও আবাদি ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে এই স্লুইসগেটটি নির্মিত হলেও দুইপাশ ভরাট না করার কারণে এর কোনো সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী।

ফুলপুর প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১০-১১ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর বৃহত্তর ময়মনসিংহ, সিলেট, ফরিদপুরে ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের সুপারিশে জাইকার অর্থায়নে ২০১৩ সালে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স হোসেন আলী ২৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫২১ টাকায় ৬ ব্রেন্ড চেক স্ট্রাকচারের এই স্লুইসগেট নির্র্মাণ করেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নদীর মধ্যস্থলে নির্মিত স্লুইসগেটটি অর্থহীনভাবে দাঁড়িয়ে থাকে। দুইপাশে সংযোগবাঁধ না থাকায় বর্ষায় কোনো কাজেই আসছে না এটি। দশ বছরে এলাকাবাসী বার বার দাবি করা সত্ত্বেও সংযোগবাঁধ নির্মাণ করা হয়নি।

এ ব্যাপারে ছোটশুনই গ্রামের বাসিন্দা আলাল উদ্দিন বলেন, সারা বছর স্লুইসগেটটি বন্ধ থাকায় বিপুল পরিমাণ কচুরীপানা আটকে যায়। এতে দুইপাশের বিস্তীর্ণ ফসলী জমি কচুরীপানায় ঢাকা পড়ে, যা শ্রমিক দিয়ে পরিষ্কার করতে প্রতি কাঠায় এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা খরচ হয়।

একই কথা বলেন রঘুরামপুর গ্রামের কৃষক শামছুল হক ও ছোট শুনই গ্রামের মোজাম্মেল হক-সহ অনেকেই। এছাড়া অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, দুপাশে মাটি ভরাট না হওয়ায় তাদের দুর্ভোগ রয়েই গেছে। মাটি ভরাট করা হলে স্লুইসগেটটি এভাবে অকেজো হয়ে পড়ে থাকতো না।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই অপরিকল্পিত স্লুইসগেটটি জনসাধারণের জন্য কোনো কাজেই আসছে না। শুধু শুধু সরকারি অর্থের অপচয় হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close