আনোয়ার হোসেন, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী)
দায়সারা সড়ক সংস্কার
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে নিম্নমানের ইটের খোয়া দিয়ে পুনরায় চলছে সড়ক সংস্কার কাজ। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত টিমের সদস্যরা নীরব থাকায় নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদার। উপজেলা প্রকৌশল অফিসের যোগসাজশে দায়সারাভাবে সংস্কার কাজ করায় স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, দুরাকুটি ময়দানেরপার থেকে বাহাগিলি ইউপি পর্যন্ত চলছে সড়ক সংস্কার কাজ। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সংস্কার কাজে তিন নম্বর ইটের খোয়া ও পুরাতন ইটের অ্যাজিং দিয়েছে। ট্রাকে করে চুলার মাটির মতো ইটের খোয়া ও ইটের গুঁড়া এনে সড়কে ছিটিয়ে রোলার করছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ ঘটনায় ১০ ডিসেম্বর প্রতিদিনের সংবাদে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ইউএনও উপজেলা প্রকৌশলীকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। কিন্তু তদন্ত কমিটি নীরব থাকায় আবারও নিম্নমানের খোয়া দিয়ে ওই সড়ক সংস্কারের কাজ করছেন ঠিকাদার।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, একেবারে পঁচা ইটের খোয়া দিয়ে ঠিকাদারের লোকজন সড়কের কাজ করছে। এমন নিম্নমানের খোয়া দিয়ে কাজ করতে তাদের নিষেধ করেছিলাম, কিন্তু আামর বাধা মানেনি।
এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর ওই সড়কের দুই হাজার ৩১৫ মিটার সংস্কার কাজের টেন্ডার হয়। ৭৭ লাখ টাকা চুক্তিমূল্যে কাজটি পান ঠাকুরগাঁওয়ের ঠিকাদার মোখছেদুল ইসলাম। তবে তিনি নিম্নমানের খোয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, একজন এমন খোয়া দিয়েছিল সেগুলো ফেরত দেওয়া হয়েছে।
সড়কে খোয়া বিছানোর সময় ওয়ার্ক এসিস্টেন্ট আব্দুল হাদি সংস্কার কাজে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহারের বিষয়টি স্বীকার করে জানান, স্থানীয় লোকজন বাধা দেওয়ায় দুই স্তূপের এমন খোয়া রাস্তার কাজে দেওয়া হয়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান নিম্নমানের কাজের অভিযোগের বিষয়ে ইউএনও অফিস থেকে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আগে ওই সড়কের কাজ দেখার জন্য গিয়েছিলাম, সম্প্রতি যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।
"