দুলাল বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ

  ০৯ ডিসেম্বর, ২০২২

গোপালগঞ্জে সড়ক উন্নয়নে অনিয়মের অভিযোগ

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে সড়ক উন্নয়নে নিম্নমানের কাজ ও কার্যাদেশ না মেনে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে। তবে তারা খেয়ালখুশি মতো কাজ করলেও নেওয়া হচ্ছে না ব্যবস্থা। কাজের মান নিয়ে অভিযোগ থাকলেও সেগুলো ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে অদৃশ্য কারণে। শুধু কাজের ক্ষেত্রেই নয়, ঠিকাদারদের বিল পরিশোধের ক্ষেত্রেও অনিয়ম রয়েছে বলে অভিযোগ ঠিকাদার ও এলাকাবাসীর।

এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, এলজিইডির আওতায় ৬৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকা ব্যয়ে উপজেলার রামদিয়া বাজার থেকে ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়ি পর্যন্ত সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হতে না হতেই ভেঙে গেছে। ২.৭ কিলোমিটার সড়কটির ৪০ স্থানেই ভেঙে যায়। ঘৃতকান্দি এলাকায় তিনটি স্থানে সড়ক ধসে খালের মধ্যে চলে গেছে। ধ্বসে যাওয়া অংশ মাটি দিয়ে ভরাট করে রাখা হয়েছে। কাজটি বাস্তবায়ন করেছে জান্নাত কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামে এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, যথাযথভাবে পাইলিং না করা ও রাস্তা ঘেঁষে ভেকু দিয়ে মাটি তুলে রাস্তায় দেয়ায় সড়কটি ধসে পড়েছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মো. রহমত আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দ্রুত আমরা ধসে যাওয়া সড়ক মেরামত করে দেব।

এদিকে উপজেলার বাথানডাঙ্গা-সাতাশিয়া ভায়া মাহমুদপুর সড়কে তড়িঘড়ি করে রাতের আঁধারে পিচ ঢালাই দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। যা সকালেই সাধারণ মানুষের জুতার ঘষায় উঠে যায়। কার্যাদেশ না মেনে ও নামমাত্র বিটুমিন দিয়ে নিম্নমানের কাজ করায় এমনটা হয়।

জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৯৫ লাখ ৬২ হাজার ৮১৩ টাকা ব্যয়ে উপজেলার বাথানডাঙ্গা, সাতাশিয়া, ভায়া মাহমুদপুরে ১১০০ মিটার সড়ক প্রশস্তের কাজ হাতে নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে কাজটি পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কেকেই-বিএসিকে (জেভি)। পরবর্তীতে তাদের কাছ থেকে কাজটি নেয় স্থানীয় ঠিকাদার অ্যাডভোকেট রাজিব।

এ বিষয়ে এলজিইডির প্রকৌশলী মো. মোরশেদুল হাসান বলেন, কাজ চলমান আছে। কোথাও কোন সমস্যা হলে ঠিক করে দেওয়া হবে।

সরেজমিন দেখা গেছে, রাস্তার পাশ ঘেঁষে মাটি তুলে রাস্তায় দিচ্ছেন শ্রমিকরা। এতে রাস্তা ধসে খালের মধ্যে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এলাকাবাসী ঠিকাদারের লোকজনকে রাস্তার ঘেঁষে খাল থেকে মাটি তুলতে নিষেধ করলেও তা শুনছেন না তারা। এছাড়া কাজে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এসব বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. মোরশেদুল হাসান বলেন, কাজের অনিয়ম খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাথানডাঙ্গা ত্রুটিপূর্ণ সড়ক মেরামত করে দেওয়ার কথা ছিল। ঘৃতকান্দি ভেঙে যাওয়া সড়ক মেরামত করে দেওয়া হবে। ৩০ ডিসেম্বরের পর্যন্ত কাজের মেয়াদ রয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close