নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
তিতাসের অভিযান
সিদ্ধিরগঞ্জে ৩ কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
![](/templates/web-ps/images/news-logo.jpg?v=4)
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে চারটি মেটাল ফুড র্যাক কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে দুটি কারখানাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনোনিতা দাসের নেতৃত্বে গতকাল রবিবার দুপুর বারোটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত জালকুঁড়ি উত্তরপাড়া এলাকার চারটি স্পটে এই অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় শাহী মেটাল কারখানা ও রওজা স্টিল নামের দু’টি কারখানাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।
এছাড়া চারটি কারখানা থেকে জব্দ করা হয় গ্যাস টানার উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বুস্টার মেশিন সহ বিপুল পরিমান অবৈধ পাইপ, রাইজার, বার্ণার, চূলা ও কারখানার উৎপাদিত মালামাল। পরে তিতাসের মূল বিতরণ সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্নকৃত অবৈধ সংযোগস্থল গুলো স্থায়ীভাবে সীলগালা করে দেয় তিতাস কর্তৃপক্ষ।
অভিযানে তিতাসের নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মুস্তাক মাসুদ মো. ইমরান, ফতুল্লা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মুশিউর রহমান ও অন্যান্য প্রকৌশলীরা সহ উর্ধতন কর্মকর্তারাসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান শেষে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোং লিমিটেড এর নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মুস্তাক মাসুদ মো. ইমরান জানান, সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযানের কারণে অনেক কারখানা ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। তবে উত্তরপাড়া এলাকাটি নিরিবিলি ও জনবসতি কম থাকায় গত প্রায় ছয় মাস আগে দালাল চক্র ও স্থানীয় প্রভাবশালিদের ছত্রছায়ায় তিতাসের মূল বিতরণ সংযোগ থেকে অবৈধ সংযোগ নিয়ে চারটি মেটাল ফুড র্যাক কারখানা গড়ে উঠে। এ পর্যন্ত চারটি কারখানা অন্তত বিশ লাখ টাকার গ্যাস অবৈধভাবে ব্যবহার করেছে।
বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে অভিযান চালিয়ে সবগুলো কারখানার অবৈধ গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেই। যাতে তারা আর অবৈধভাবে সংযোগ নিতে না পারে সেজন্য আমাদের মূল বিতরণ সংযোগস্থল থেকে অবৈধ সংযোগগুলো স্থায়ীভাবে সীলগালা করে দিয়েছি। পাশাপাশি অবৈধ সংযোগে ব্যবহৃত সকল সরঞ্জাম আমরা জব্দ করেছি এবং দুইটি কারখানাকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এক লাখ টাকা জরিমানাও করেছেন। অবৈধ সংযোগ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।
"