ওয়াশিম, যবিপ্রবি
যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
![](/assets/news_photos/2024/06/08/image-461225.jpg)
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) আবাসিক হলে এক শিক্ষার্থীকে আটকে রাতভর নির্যাতনের ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানাকে প্রধান আসামি করে আট নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শাহরীন রহমান প্রলয় (২৪) বাদী হয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় এ মামলা করেন। গতকাল শুক্রবার যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের স্নাতক ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইসাদ হোসেন (২), একই বিভাগের স্নাতক ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শাহীনুর ইসলাম (৩), স্নাতক ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের আমিনুল ইসলাম (৪), ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের স্নাতকোত্তর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বেলাল হোসেন (৫), পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রায়হান রহমান রাব্বি (৬), পিইএসএস বিভাগের স্নাতকোত্তর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের বিভাগের বিপুল হাসান (৭) ও একই বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আশিকুজ্জামান লিমনকে ৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে শাহীনুর ইসলাম (৩ নম্বর), বেলাল হোসেন (৫) ও রায়হান রহমান রাব্বির (৬) নামে চাকরি প্রার্থী একজনকে অপহরণের ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি থানায় গত বছরের ৮ ডিসেম্বর করা একটি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া ২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর ক্যাম্পাসে অস্ত্র-গুলিসহ আটক হওয়ায় ইসাদ হোসেনের (২ নম্বর আসামি) বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা করে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় কমিটি ইসাদ হোসেনকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কারও করেন।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শাহরীন যশোর কোতোয়ালি থানায় এসে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে একটি মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আশা করি আসামিরা দ্রুতই ধরা পড়বেন।’
এর আগে ৩ জুন কথা-কাটাকাটির জেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ায় ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন পিইএসএস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাহরীন রহমান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আবাসিক হলে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেল রানার কক্ষে (৩০৬ নম্বর) রাতভর নির্যাতন করা হয়েছে দাবি করেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী।
থানায় লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী শাহরীন উল্লেখ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে বেধড়ক মারধর করে হল ছাড়ার হুমকি দেন। সেই সঙ্গে প্রক্টোরের কাছে করা অভিযোগ তুলে না নিলে গুলি করে মেরে ফেলবেন বলেও হুমিকে দেওয়া হয়।
এদিকে নির্যাতনের ঘটনায় ভুক্তভোগী শাহরিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এরই মধ্যে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
"