সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ২৩ মে, ২০২৪

অর্থ দিয়েও মেলেনি গর্ভবতীর কার্ড

সিংগাইরে ইউপি সচিব ও সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ

অর্থ দিয়ে এক বছরেও মেলেনি গর্ভবতী মায়ের ভাতার কার্ড। তারপরও আরো অতিরিক্ত অর্থ দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউপি সচিব ও সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা হলেন- মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সেলিম মোল্লা ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার আজাদ। গত মঙ্গলবার ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে ওই ইউনিয়নের আটকুড়িয়া গ্রামের সুজন টিকাদার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এ অভিযোগ করেন।

অভিযোগে প্রকাশ, গত এক বছর আগে আটকুড়িয়া গ্রামের অন্তঃসত্ত্বা ঝুমা সরকার (২২) মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য আবেদন করেন। এ ঘটনায় তার দেবর সুজন টিকাদারকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে সদস্য আজাদ ৩ হাজার টাকা ও পরবর্তী সময়ে ইউপি সচিব সেলিম মোল্লা ২ হাজার টাকা নেন। সর্বশেষ মঙ্গলবার ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে ইউপি সচিব সেলিম মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কার্ড পেতে আরো ৭-৮ মাস সময় লাগবে বলে জানান। অভিযোগকারী সুজন টিকাদার বলেন, সচিব সেলিম মোল্লা ও সদস্য আজাদ আমার গর্ভবতী ভাবীর কার্ড প্রদান না করে ৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। জড়িতদের বিচার দাবি করেন তিনি।

ইউপি সচিব সেলিম মোল্লা বলেন, গত ডিসেম্বর মাসে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে তার মাতৃত্বকালীন কার্ড চূড়ান্ত হয়েছে। কার্ড দেওয়ার নামে কোনো টাকা-পয়সা নেওয়া হয়নি। সদস্য আজাদ বলেন, গর্ভবতীর কার্ডের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। এ বিষয়ে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার বসু বলেন, অভিযোগের কপি আমার কাছে এখনো আসেনি। গর্ভকালীন ভাতার কার্ড দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার বিষয়টি প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close