রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেছেন, আমরা এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছি, পুরো খালটি পরিষ্কার করব। আমার সাধ্য অনুযায়ী রংপুরবাসীকে সুন্দর নগরী উপহার দেয়ার চেষ্টা করব। গতকাল শনিবার রংপুর শেখ রাসেল স্টেডিয়াম মাঠে পরিচ্ছন্নকর্মীদের নিয়ে আলোচনা সভা করেন মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

রংপুরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত শ্যামাসুন্দরী খালটিতে ময়লা, আবর্জনা ফেলার কারণে জলাবদ্ধতায় পরিপূর্ণ হয়ে ডেঙ্গু মশাসহ নানা রোগ জীবাণু সৃষ্টি হয়ে খালটি কালা সুন্দরীতে পরিণত হয়েছে। এ কারণে নগরীতে বসবাসকারী বিভিন্ন পেশার মানুষ নানান সমস্যার মুখোমুখি হয়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

পরিচ্ছন্নকর্মীদের টিম গঠন, জুতা, মুজা, হাতের গ্লোজ ও পরিষ্কারের হাতিয়ারসহ পোকাণ্ডমাকড়ের হাত থেকে বাঁচতে কৌশল অবলম্বন এবং ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়।

তাই রংপুর সিটি করপোরেশনের আওতায় শ্যামাসুন্দরী খালটি পুনরুজ্জীবন ও সচল রাখার উদ্দেশ্যে একযোগে একদিনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জনসচেতনতা কার্যক্রম শুরু করেছে বিডি ক্লিন নামে বেসরকারি একটি সংস্থা। পরে আলোচনা শেষে নগীরর চেকপোস্ট থেকে শাপলা চত্বর পর্যন্ত প্রত্যেকটি পয়েন্টে ১০০ পরিচ্ছন্নকর্মীর ১০টি টিম গঠন করে কাজ শুরু করে। তবে কাজ করতে গিয়ে পোকাণ্ডমাকড়ের সমস্যাতেও পড়তে হচ্ছে তাদের।

বিডি ক্লিন সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় গড়ব দেশ, এই ধারাবাহিকতায় সারা দেশে কাজ করছেন তারা। রংপুরের ১০ লাখ বসবাসকারীর দীর্ঘদিনের দাবি, শ্যামাসুন্দরী খালটিকে জীবাণুমুক্ত করা। মেয়র বিডি ক্লিন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করলে সারা দেয় সংস্থাটি। কাজের মাধ্যমে রংপুরবাসীকে বিডি ক্লিনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা মেসেজ দিয়ে যেতে চাই। পুনরুদ্ধার খালটির গৌরব ফিরিয়ে দিতে চাই। আর পরিষ্কারের পর এভাবেই সবাই যেন পরিষ্কার রাখে। তাহলে এটিকে দেখতে অনেক সুন্দর দেখাবে। ১০ লাখ মানুষের ভোগান্তি শ্যামাসুন্দরী খালটি পুনরুদ্ধার হলে মিলবে স্বস্তি। ফিরে পাবে নগরবাসী আবার তাদের নতুন জীবন।

"