বেনাপোল (যশোর) প্রতিধিনি
বেনাপোল স্থলবন্দর
ভারতে যাওয়ার সময় শূন্য রেখায় দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রীর মৃত্যু
![](/templates/web-ps/images/news-logo.jpg?v=4)
চিকিৎসার জন্য ভারতে যাচ্ছিলেন যশোরের কোতোয়ালি থানার বকচর এলাকার নুর ইসলাম। বেনাপোল চেকপোস্ট পার হয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ইমিগ্রেশনের জন্য শূন্য রেখায় (নো-ম্যান্সল্যান্ড) দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। সেখানেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে তার মৃত্যু হয়।
শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে ভারত-বাংলাদেশ শূন্য রেখায় (নো-ম্যান্সল্যান্ড) নুর ইসলাম নামে বাংলাদেশের যশোরের পাসপোর্টধারী ওই যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি যশোর কোতোয়ালি থানার বকচর এলাকার গোলাম রসুলের ছেলে।
যাত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস। এদিকে রোগীদের জন্য পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে একটি আলাদা কাউন্টার চালু করার জন্য দুদেশের হাইকমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগী পাসপোর্ট যাত্রীরা।
ওসি কামরুজ্জামান বলেন, মারা যাওয়া বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসার জন্য মেডিকেল ভিসা নিয়ে ভারত যাচ্ছিলেন। আমাদের এখান থেকে দ্রুত ছাড় দেওয়া হলেও ওপারের ইমিগ্রেশনের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সম্ভবত হৃদরোগ আক্রান্ত (হার্ট অ্যাটাক) হয়ে মারা যান। ভারতের ইমিগ্রেশনে রোগীদের জন্য আলাদা কোনো কাউন্টার না থাকায় মেডিকেল ভিসা নিয়ে যাওয়া রোগীদের লম্বা লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এর আগেও অনেকে মারা গেছেন।
এদিকে বেনাপোল স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশনের অপেক্ষা থাকা ও দেশে ফেরা অনেক যাত্রী অভিযোগ করেন, ভারতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের কার্যক্রম দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ হলেও ভারতীয় ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস ইচ্ছামতো কাজ করে। এ কারণে শূন্য রেখায় (নো-ম্যান্সল্যান্ড) খোলা আকাশের নিচে রোদবৃষ্টিতে ঘণ্টা পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় পাসপোর্টধারী যাত্রীদের।
"