জিয়া চৌধুরী, সংযুক্ত আরব আমিরাত

  ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

আবুধাবি ডায়ালগে প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

বৈশ্বিক অভিবাসন মানদ- অনুসরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বৈশ্বিক অভিবাস মানদন্ড মেনে চলা ও অভিবাসন ব্যবস্থাপনা যুগোপযুগী করার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি দুবাই এ চলমান সপ্তম আবুধাবি ডায়ালগে প্লেনারি সেশনে বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন। এ ছাড়া তিনি অভিবাসী শ্রমিক প্রেরণকারী ও গ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা আরো জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এসময় তিনি দেশের ১১০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ যুক্তরাজ্য, কোরিয়া, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সভায় গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। গত রবিবার মন্ত্রী পর্যায়ের এ পরামর্শ সভায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের মানবসম্পদ ও আমিরাত সংক্রান্তমন্ত্রী ডা. আবদুর রহমান আল আওয়ার নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়ে মূল বক্তব্য প্রদান করেন। দুদিনের সম্মেলনে বৈশ্বিক শ্রম বাজার নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে দক্ষ শ্রমিক তৈরির ওপর জোরারোপ করা হয়।

আবুধাবি সংলাপের বর্তমান সদস্যভুক্ত ১৬টি দেশ এতে অংশগ্রহণ করে। যার মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম মিলে ৯টি শ্রম প্রেরণকারী দেশ রয়েছে। এ ছাড়া ৭টি শ্রমিক গ্রহীতা দেশের মধ্যে সংলাপে অংশ নেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও মালয়েশিয়া। এতে বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপিসহ সংশি¬ষ্ট দেশগুলোর শ্রম, মানবসম্পদ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রীরা যোগ দেন। এ ছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, বেসরকারি খাত ও বেসামরিক প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন। এসময় শ্রমিক গ্রহীতা দেশগুলো শ্রমিকদের দক্ষতার বৃদ্ধির বিষয়ে অধিকতর গুরুত্ব দেন।

একই দিন স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় দুবাইয়ের ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে সৌদি আরবের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আহমাদ বিন সুলাইমান আলরাজি ও বিকাল ৩টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ডা. আবদুর রহমান আল আওয়ারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, আবুধাবি ডায়ালগে আসার পর অনেকটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। আরো অভিজ্ঞতার প্রয়োজন আছে। আমাদের এখন মূল লক্ষ্য হলো- দক্ষ শ্রমিক বিদেশে প্রেরণ করার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। যে সব দেশ শ্রমিক নিবে তারা এ বিষয়টি অবগত করেছে। আজকের আলোচনার বিষয়ও ছিল এটি। দ্বিপক্ষীয় আলোচনা আরো চলবে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তাদেরকে আমরা বাংলাদেশে যেতে দাওয়াত দিয়েছি। তারা দাওয়াত গ্রহণ করেছে। কিছুদিনের মধ্যে তারা তারিখ জানাবে। সেই অনুযায়ী দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্কে মাধ্যমে আমরা কাজ করে যাব।

আরব আমিরাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সৌদি আরব যেমন দক্ষ শ্রমিক চায় তেমনি আমিরাতে হেলথ কেয়ার সেক্টরেও দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে। আমাদের চ্যালেঞ্জও রয়েছে। এ লোকগুলোকে দেশে যথাপোযুক্তভাবে প্রশিক্ষণ দিতে। আমাদের যেসব ম্যানপাওয়ার এজেন্সি আছে তাদেরকে বিষয়টি অনুধাবন করতে হবে এবং সেভাবে তারা পাইভেট সেক্টর থেকে শ্রমিকদের প্রশিক্ষিত করে তুলেন সেই বিষয়টিতে আমাদের অধিক নজর দিতে হবে। তাহলে আগামী দিনগুলোয় বাংলাদেশি শ্রমিকদের ক্ষেত্রে বেশ সাফল্য অর্জন করা যাবে। এসময় রাষ্ট্রদূত বিদেশে শ্রমিক প্রেরণের ক্ষেত্রে শ্রমিকদের দক্ষতার সনদ জাল-জালিয়তি হ্রাস করার বিষয়েও যথাযথ নজরদারির কথা জানান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close