জুয়েল রানা লিটন, নোয়াখালী

  ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পুলিশ সুপারের উদ্যোগ

যানজটমুক্ত সোনাপুর জিরো পয়েন্ট

নোয়াখালী জেলা শহর সোনাপুর বৃহত্তর নোয়াখালীর সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগের  একমাত্র  হাব। এখান থেকে প্রতিনিয়ত দেশের বিভাগীয় শহরগুলোয় বাস ও রেলেরমাধ্যমে গড়ে কয়েক লাখ যাত্রী যাতায়াত করে। এখানে রয়েছে একটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল ও রেলওয়ে স্টেশন। এছাড়াও নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ছেড়ে আসে বাসসহ সিএনজি থ্রিহইলার যানবাহন।

এ রাস্তা ব্যবহার করে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন আরো কয়েক হাজার মানুষ। যারা প্রতিনিয়ত এ রাস্তায় যাতায়াত করে। এর ফলে সোনাপুরে প্রায় দুর্ঘটনা ও যানজটে পড়তে হতো ব্যবহারকারীদের। পরিস্থিতি উন্নতি ঘটাতে এ সড়কটিকে ফোরলেনে যুক্ত করা হয়। তারপরও যানজটের সুরাহা না হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছিল। মানুষের দুর্ভোগ লাগবে জেলা ট্রাফিক পুলিশ একটি সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ায় বর্তমানে যানজট প্রায় শূন্যের কৌটায়। এমন যানজটমুক্ত পরিবেশে চলাচল করতে পারায় এ সড়ক ব্যবহারকারীদের মনে ফিরেছে স্বস্তি।

সোনারপুর কাঠপট্টির বাসিন্দা সুবর্ণচর একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আবুল খায়ের বলেন, আগে সুবর্ণচর যেতে কয়েকঘণ্টা লেগে যেত; যেটা এখন আধা ঘণ্টায় নেমে এসেছে। এমন যানজটমুক্ত দৃশ্য তিনি এর আগে স্বপ্নেও দেখেননি। এ সড়কে প্রতিনিয়ত তিনি যাতায়াত করেন।

জেলা শহরের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আকাশ মুহাম্মদ জসিম বলেন, বর্তমান সড়কের অবস্থা আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। যানজট পরিস্থিতি উন্নত করায় এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

নোয়াখালী জেলা ট্রাফিক পুলিশের টিআই (অ্যাডমিন) সিরাজ উদণ্ডদৌলা বলেন, দীর্ঘদিন থেকেই সোনাপুরের যানজট পুলিশকে ভাবিয়ে তোলে। নতুন  পুলিশ সুপার জেলায় যোগদান করে আমাদের বিষয়টি নিয়ে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেন।

নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী বাসচালক নূর নবী জানান, আগে টার্মিনাল থেকে বাস বের করে সোনাপুর পার হতে প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় লেগে যেত। লংজার্নির সময় এমন সময় ক্ষেপণে মন মেজাজ খারাপ হয়ে যেত। অবশ্য সেটা এখন আর নেই।

এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলার সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য, আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সহ সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা, সোনাপুর বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, বাঁধন বাস পরিবহনের এমডি ও নোয়াখালী বাস মালিক সমিতির সহ সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন বলেন, সোনাপুর জিরো পয়েন্টের যানজটে মানুুষ দীর্ঘদিন ভোগান্তিতে ছিল। কয়েক লাখ মানুষের দুর্ভোগ লাগবে রাস্তায় দখলে থাকা শতাধিক হকারকে উচ্ছেদ করা হয়। হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে এ বিষয়ে কে কি বললো তাতে কিছু যায় আসে না। আমার কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের দুর্ভোগ সবার আগে প্রাধান্য দিয়েছি এবং সোনাপুরের যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশকিছু শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছি। যাদের দৈনন্দিন বেতন ভাতা আমিই প্রদান করি।

নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, যোগদানের পর হতে সোনাপুরের যানজট নিয়ে একাধিক অভিযোগ আসে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাফিক পুলিশকে যানজট নিরসনের জন্য নির্দেশ দেই। তিনি বলেন, এ কৃতিত্ব  আপনাদের। পরিবহন সংশ্লিষ্ট শ্রমিক, নেতা সবার আন্তরিক প্রচেষ্টার একটা সফল আয়োজন সোনাপুরকে যানজটমুক্ত পরিবেশ উপহার দেওয়া। এজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close