ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, বিএনপির বর্তমান আন্দোলন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য নয়। তারা চায় দেশে আরেকটা ওয়ান-ইলেভেন আসুক। সরকারের পতন ঘটুক পরে যদি তারা ক্ষমতা পায়। গতকাল বৃহস্পতিবার অ্যাডভোকেসি ক্যাম্পেইন কর্তৃক আয়োজিত ‘গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও নির্বাচন : বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

ঢাবি ভিসি বলেন, গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে পাকিস্তানের ২৩ বছরের শাসনামলে। আওয়ামী লীগের যে চরিত্র সেটা হলো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা বদল হবে। সেই নির্বাচনে সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ থাকবে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান বৈধ রাষ্ট্রপতি ছিলেন না। কারণ কোনো দেশের রাষ্ট্রপতি মারা গেলে সে দেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন উপরাষ্ট্রপতি। উপরাষ্ট্রপতি না থাকলে রাষ্ট্রপতি হবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার। কিন্তু তখন সামরিক শাসক হিসেবে আসলেন জিয়াউর রহমান। এসে আবার হ্যাঁ না ভোটের আয়োজন করেছেন। এগুলো থেকেই বুঝা যায় তিনি বৈধ রাষ্ট্রপতি ছিলেন না। জিয়াউর রহমান এসে যে ইনডেমনিটি আইন জারি করার মাধ্যমে তার সব অপকর্মের বৈধতা দিলেন এর মাধ্যমে তিনি মূলত গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছেন। ঢাবি ভিসি বলেন, অনেকে বলছেন বাংলাদেশকে আরো অনেক স্যাংশন দেওয়া হবে। আমরা তো এখন স্যাংশন প্রুফড হয়ে গেছি। প্রথমে স্যাংশনের কথা শুনে অনেকে ভয় পেয়ে গিয়েছিল কিন্তু এদিকে কারো নজর নেই। স্যাংশন আরো দেওয়া হোক। তাতে যেটা হবে আমরা একটা প্রতিষ্ঠিত দেশ হিসেবে দাঁড়াতে পারব।

সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মেসি অনুষদের ডিন এবং ঢাবি নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহিম। প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা।

"