আগামী ১৪ ডিসেম্বর (বুধবার) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং আগামী ১৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) মহান বিজয় দিবস। এ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এক সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং মহান বিজয় দিবসে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

সভায় প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সভার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদ সদস্য, সব শহীদ বুদ্ধিজীবী এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সব শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচি : ১৪ ডিসেম্বর সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে উপাচার্য ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোয় কালো পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৬টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জমায়েত, সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণের কবরস্থান, জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণের স্মৃতিসৌধ ও বিভিন্ন আবাসিক এলাকার স্মৃতিসৌধে পু®পস্তবক অর্পণ এবং মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পু®পস্তবক অর্পণের উদ্দেশ্যে গমন। বেলা ১১টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া, বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিয়াসহ বিভিন্ন হল মসজিদ ও উপাসনালয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত এবং শান্তি কামনায় দোয়া/প্রার্থনা করা হবে।

এরপর মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে : ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৬.১৫ মিনিটে উপাচার্য ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলো জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৫.৫০ মিনিটে উপাচার্য ভবন সংলগ্ন স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে জমায়েত হয়ে সকাল ৬টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের উদ্দেশ্যে যাত্রা। সকাল ১০টা থেকে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ‘বাঁধন’-এর উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হবে। বিকেল ৪.১০টায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ছায়ানটের যৌথ উদ্যোগে সংগীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধ্যা ৬.৩০টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ, নৃত্যকলা বিভাগ এবং থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের যৌথ ব্যবস্থাপনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান মুক্তিযুদ্ধ, মহান ভাষা আন্দোলন এবং মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কিত প্রামাণ্যচিত্র, তথ্যচিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শন এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হবে।

বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিয়াসহ বিভিন্ন হল এবং আবাসিক এলাকার মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নতির জন্য দোয়া করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য উপাসনালয়ে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। কলা ভবন, কার্জন হল, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র ও স্মৃতি চিরন্তনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

"