হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

  ০৬ অক্টোবর, ২০২২

সয়াবিন তেলের দাম কমলেও সুফল পাননি ভোক্তারা

বিশ্ববাজারে দাম কমায় দেশের বাজারেও সয়াবিন তেলে লিটারপ্রতি ১৪ টাকা কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে ঘোষণার দুদিন পার হলেও হিলির হাটবাজারে সেই মূল্য কার্যকর হয়নি। এতে কাজির গরু কেতাবে থাকলেও যেমন গোয়ালে থাকে না, তেমনি ভোক্তারাও দাম কমার সুফল পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় ব্যবসায়ীদের দাবি, নতুন তেল না আসায় দাম সমন্বয় হয়নি। আর ক্রেতারা বলছেন, দাম বাড়লে পরদিনই ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি করেন, কিন্তু কমালে নানা অজুহাত দেখান। এসব বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেছেন তারা।

বাংলাদেশ ভেজিটেবল ওয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সোমবার (৩ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সয়াবিন তেলের দাম কমানোর কথা জানায়। তারা সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৪ টাকা কম করার ঘোষণা দেয়। এতে এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে যা বিক্রি হচ্ছে ১৯২ টাকায়। এ ছাড়া পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের দাম ৮৮০ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৫৮ টাকা লিটার নির্ধারণ করা হয়।

নতুন দরে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) থেকে বাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হবে বলে ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি জানায়। তবে এখনো হিলি বাজারের অধিকাংশ দোকানেই আগের বাড়তি দামই রাখা হচ্ছে। তবে বাজারের সব দোকানেই সয়াবিন তেলের যথেষ্ট মজুদ আছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

ক্রেতা নুরন্নবী বলেন, সরকার তেলের দাম নাকি লিটারপ্রতি ১৪ টাকা কমিয়েছে। তবে ঘোষণার দুই দিন পরও আমরা কম দামে তেল পাচ্ছি না। আগের দামেই তেল কিনতে হচ্ছে। দোকানদারদের দাবি, নতুন তেল এখনো আসেনি, তাই আগের তেল আগের দামেই বিক্রি করছেন। কিন্তু কোনো এটা পণ্যের দাম বাড়ার পরদিনই ব্যবসায়ীরা বাড়তি দামে তা বিক্রি শুরু করেন। আরেক ক্রেতা আসলাম হোসেন বলেন, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের যে দাম, তাতে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। সরকার তেলের দাম কমিয়েছে, কিন্তু এখনো বাজারে সেই প্রভাব নেই। বিষয়টিকে ক্রেতাদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের নিছক প্রতারণা বলে দাবি করেন তিনি।

বাজারের মুদি দোকানি মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকার যে সয়াবিন তেলের দাম কমিয়েছে, সেই তেল এখনো আমাদের কাছে আসেনি। আমরা কোম্পানি থেকে কম দামের তেল এখনো পাইনি। নতুন তেল এলে আমরা কম দামেই বিক্রি করব। হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম বলেন, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয়। তার পরও কেউ যদি সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বাড়তি দামে বিক্রি করা হয়, সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close