ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ১০ জুন, ২০২৪

ব্যাটারদের ব্যাটিং ভালো লাগেনি তামিমের

অনেকদিন ধরেই ব্যাট হাতে রান পাচ্ছেন না লিটন দাস। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রান পেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু নিজের স্বভাবসুলভ ব্যাটিং করতে পারেননি তিনি। এ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের ওপেনার ও সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলমান আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। ১২৫ রান তাড়া করতে নেমে দুই উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর জয় পেয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ম্যাচে ৩৮ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেছেন লিটন। যা মোটেই উপভোগ করেননি তামিম।

ইএসপিএন ক্রিকইনফোর এক শোতে তামিম বলেছেন, ‘আমাদের সামনে আক্রমণাত্মক খেলার সুযোগ ছিল। হ্যাঁ, আমরা শুরুতে উইকেট হারিয়েছি। কিন্তু লিটনের সামনে সুযোগ ছিল আক্রমণাত্মক খেলার। সে অনেক ধীরগতিতে এবং নিরাপদে খেলেছে। এটা আমি মোটেও উপভোগ করিনি। শুধু লিটনের না, পুরো দলের খেলা উপভোগ করিনি।’ ঠিক কী কারণে তামিম খেলা উপভোগ করতে পারেননি, জানিয়েছেন সেটিও। এ বিষয়ে তামিম বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে ১২০-২৫ রান তাড়া করা কঠিন কিছু নয়। আমি উইকেট নিয়ে কিছু বলতে চাই না। কিন্তু বাংলাদেশ যেভাবে রান তাড়া করেছে, এটা উপভোগ করিনি।’ বাংলাদেশের হয়ে দীর্ঘদিন খেলেছেন তামিম। নতুন বলে দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটারও তিনি। তাই এমন লক্ষ্যে কীভাবে খেলতে হয় তা ভালোই জানা রয়েছে তামিমের। এ বিষয়ে তামিম বলেছেন, ‘এসব রান তাড়া করার সবচেয়ে ভালো কৌশল, টপ অর্ডারে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করা। আপনি যদি পাওয়ার প্লেতে দ্রুত রান তোলেন, তাহলে কাজটা সহজ হয়ে যায়। মিডল অর্ডারে চাপ থাকে না।’

শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১২৫ রান তাড়া করতে নেমে হারের শঙ্কায় পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দৃঢ়তায় জয় পায় বাংলাদেশ। কিন্তু এর আগে ২০ বলে ৪০ রান করে বড় জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তাওহীদ হৃদয়। হৃদয়ের ব্যাটিং নিয়ে তামিম বলেছেন, ‘এ জয়ে কৃতিত্ব তাওহীদ হৃদয়কে দিতে হয়। ওর ২০ বলে ৪০ রানের ইনিংসটি জয়ের পথ তৈরি করে দিয়েছে।’

এদিকে চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় পেয়ে পুরো বাংলাদেশ দল আছে ফুরফুরে মেজাজে। এরই মধ্যে নিজের হাসপাতালের জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য হাজির হয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের এক আয়োজনে। সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘ইচ্ছা আছে আমাদের এটা যত দ্রুত করা যায়। কিন্তু এটা স্বাভাবিকভাবেই দীর্ঘমেয়াদি একটা পরিকল্পনা। এত অল্প সময়ে এটা হবে বলেও আমার মনে হয় না। কিন্তু সবার সহযোগিতা থাকতে আমি নিশ্চিত এটা অনেক তাড়াতাড়ি করা সম্ভব। কিন্তু এটা আসলে লম্বা সময়ের কাজ। মনে করেন আপনি টেস্ট ম্যাচ খেলছেন, এখানে টি-টোয়েন্টির চিন্তা করে লাভ নাই।’ ইমরান খানের ক্যানসার হাসপাতালের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘এটা সত্যি আমাদের একটি প্রতিনিধি দল ওখানে গিয়েছিল। মৌখিকভাবে তারা আমাদের সব কাজে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। আমরা তাদের হাসপাতালকেই রোল মডেল হিসেবে ধরে এগোচ্ছি। আশা করি, আমরা তাদের থেকে অনেক সহযোগিতা পাব। প্রয়োজনের তাদের দল আমাদের এখানে এসে কাজও করবেন বলে আশ্বাস পেয়েছি। বাকিটা দেখা যাক।’ যুক্তরাষ্ট্রের এ তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে সাকিবের সঙ্গে বাংলাদেশের আরেক ক্রিকেটার জুনায়েদ সিদ্দিকিও উপস্থিত ছিলেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close