ক্রীড়া ডেস্ক
ইংলিশ লিগে ইফতার বিরতি
নিজেদের দুর্গ সেন্ট জেমস পার্কে এগিয়ে থেকেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারল না নিউক্যাসল ইউনাইটেড। পরশু রাতে শেষ সময়ের গোলে তাদের রুখে দিয়েছে সফরকারী এভারটন। টানটান উত্তেজনার ম্যাচটি শেষ হয়েছে ১-১ গোলের ড্রয়ে। কিন্তু ম্যাচের ফল ছাপিয়ে দৃশ্যপটে চলে এলা মাহে রমজানের আবহ।
ম্যাচ চলকালীন হঠাৎই বিরতির বাঁশি বাজান রেফারি। তখন ছিল সূর্যাস্তের সময়। গ্যালারির অনেকেই আচানক বিরতিতে চমকে গিয়েছিলেন। আসলে ইফতারের কারণে খেলা থামিয়ে দেন রেফারি। এ সময় ডাগ আউটের পাশে এভারটন দলের তিন মুসলিম ফুটবলারকে পানাহার ও খাদ্য দ্রব্যাদি খেতে দেখা যায়। ম্যাচ শুরুর ২০ মিনিট পর এ বিরতি দেওয়া হয়।
ইংলিশ লিগের চলতি মৌসুমে ইফতার বিরতির ঘটনা এ নিয়ে দ্বিতীয়বার দেখা গেল। গত শনিবার অ্যাস্টন ভিলা ও উলভারহ্যাম্পটন ম্যাচ থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অ্যাস্টন ভিলার ফরওয়ার্ড মুসা দিয়াবি ও ডিফেন্ডার রায়ান আইত-নুরির ইফতারের জন্য স্থগিত করা হয় খেলা। তারা দুজনই ফরাসি ফুটবলার।
লিগে ইফতারের রেওয়াজ অনেক বছর আগে থেকেই চালু করেছে ইংলিশ ফুটবল প্রশাসন। প্রতি মৌসুমেই এ দৃশ্য দেখা গেছে। মঙ্গলবার আবারও সেই দৃশ্যের পুনর্মঞ্চায়ন হলো। রেফারির বিরতির বাঁশির পর এভারটন দলের তিন মুসলিম খেলোয়াড় আমাদু ওনানা (সেনেগালে জন্ম নেওয়া বেলজিয়াম খেলোযাড়), ইদ্রিসা গায়া (সেনেগাল) ও আবদুলায়ে ডোকুরে (ফ্রান্স) ডাগ আউটের সামনে ইফতার করেন।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষের এ রেওয়াজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববাসী। সম্প্রীতি ও ধর্মীয় শ্রদ্ধাবোধের দারুণ এক দৃষ্টান্ত হয়ে উঠছে এটা। অবশ্য ইফতার বিরতি নিতে চাইলে আগে থেকেই জানাতে হয় লিগ কর্তৃপক্ষ ও রেফারিকে। যাতে মুসলিম খেলোয়াড়দের ইবাদতে কোনো বিঘ্ন না ঘটে। বলা বাহুল্য রোজা রাখার মতো ইফতার করাও ইবাদত।
"