ক্রীড়া ডেস্ক
ম্যানসিটির ড্রতে স্বস্তি আর্সেনালের
ড্র মানেই সব সময় সমতা নয়। বরং স্কোরলাইনে সমতা থাকলেও সেখানে অদৃশ্য জয়-পরাজয় থাকে, তৃপ্তি কিংবা হতাশা মিশে থাকে। ম্যানচেস্টার সিটির মাঠে ড্র করে যেমন অনেকটা জয়ের মতোই স্বস্তি পাচ্ছেন মিকেল আর্তেতা। যে দলকে তিনি মনে করেন বিশ্বের সেরা, তাদের মাঠ থেকে পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পেরে খুশি আর্সেনাল কোচ। অবশ্য শতভাগ খুশি তিনি নন বরং উন্নতির সুযোগ দেখছেন আরো। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা লড়াইয়ের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রবিবার ম্যানচেস্টার সিটির মাঠে গোলশূন্য ড্র করে আর্সেনাল। গত মৌসুমে সিটির মাঠে গিয়ে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল আর্সেনাল। সেখান থেকে এবার সিটিকে কোনো গোল করতে না দেওয়া মানে বড় উন্নতি। ঘরের মাঠে টানা ৪৭ লিগ ম্যাচে গোল করার পর অবশেষে গোলবিহীন একটি ম্যাচ কাটল গুয়ার্দিওলার দলের। সর্বশেষ তারা নিজেদের মাঠে গোল করতে পারেনি ২০২১ সালে, ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ২-০ গোলে হারের ম্যাচে। এ ম্যাচে আর্সেনালের কৌশলটা পরিষ্কার হয়ে ওঠে খেলার শুরুর পরপরই। রক্ষণে জোর দিয়ে ড্র করাটাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। পুরো সময় মনোযোগ ধরে রেখে সেই কাজটি সফলভাবেই করতে পারে তারা। ম্যাচ শেষে তাই দলকে স্তুতিতে ভাসালেন আর্তেতা।
জয়টাই আমাদের কাম্য ছিল, প্রস্তুতিও ছিল সে রকমই। তবে যদি জেতা না যায়, তাহলে নিশ্চিত করতে হবে যেন ড্র করা যায়। আমরা তা করতে পেরেছি। ১১ মাস আগে আমরা যখন এখানে এসেছিলাম, তখন ভিন্ন অভিজ্ঞতা হয়েছিল। দল হিসেবে প্রতিনিয়ত এগিয়ে যেতে হয় এবং উন্নতি করতে হয়। আজকে আমরা তা পেরেছি বলেই মনে হয়। আমাদের প্রতিটি খেলোয়াড়ের নিবেদন কতটা, তারা কতটা শৃঙ্খলাবদ্ধ ও কেমন লড়াই করতে পারে, সব ফুঠে উঠেছে এ ম্যাচে। ফুটবল খেলতে নামা এ রকম ব্যাপার, লড়াই করা ভিন্ন ব্যাপার। আজকে আমরা লড়াই করতে পেরেছি।
ম্যাচের ৭৩ শতাংশ সময় বল ছিল ম্যানচেস্টার সিটির পায়ে। কিন্তু সেই দাপট তারা ফুটিয়ে তুলতে পারেনি সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে। আর্সেনালের আটছাঁট রক্ষণভাগের কারণে গোটা ম্যাচে লক্ষে কেবল একটি শট রাখতে পারে গুয়ার্দিওলার দল। ‘বিশ্বের সেরা দলকে’ আটকে রেখে খুশি আর্তেতা, তবে তার চাওয়া আরো বেশি কিছু আর্তেতা বললেন, এমন কিছুর জন্যই দলকে কৌশলগতভাবে ও মানসিকভাবে তৈরি করেছিলেন তিনি। ছেলেদের আমি বলেছি, ‘টানা ৩০টি পাস অনুসরণ করে ছুটতে তৈরি আছ তোমরা? যদি তৈরি থাক, তাহলে তোমরা ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে খেলতে প্রস্তুত। যদি এটার জন্য তৈরি না থাক, তাহলে ওদের সঙ্গে খেলতে পারবে না।’ ছেলেরা দেখিয়ে দিয়েছে, ওরা প্রস্তুত ছিল।’ প্রবল এক প্রতিপক্ষের সঙ্গে কঠিন লড়াই ছিল এটি। রক্ষণভাগ আমরা খুব ভালো সামলেছি। সত্যিই খুব ভালো করেছি এখানে আমরা তিন বছর পর ওরা ঘরের মাঠে গোল করতে পারেনি।
রক্ষণে যতটা দুর্দান্ত ছিল আর্সেনাল, আক্রমণে ততটা নয়। মূলত গোল ঠেকানো তাদের লক্ষ্য থাকলেও আক্রমণেও দারুণ কিছু সুযোগ এসেছিল। বিশেষ করে, নিজের সাবেক দলের বিপক্ষে দারুণ দুটি সুযোগ হাতছাড়া করেন গাব্রিয়েল জেসুস। এখানেই একটু আক্ষেপ আর্তেতার। ভুলগুলো শুধরে উন্নতির পথ ধরে সামনে এগিয়ে যেতে চান আর্সেনাল কোচ। নেতিবাচক যা ছিল, তা হলো গোল করার দারুণ সুযোগ আমরা পেয়েছিলাম, তা কাজে লাগাতে পারিনি।
"