ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বাংলাদেশের নতুন বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামস

নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া প্রথম ক্রিকেটারের নাম কী, বলতে পারেন? নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের প্রথম টি-টোয়েন্টি যারা খেলেছেন, তাদের সবারই তো একই ম্যাচে অভিষেক হয়েছে। তা ঠিক, তবে ক্যাপ নাম্বার ১ পেয়েছেন যিনি, তাকেই তো বলা যায় সর্বপ্রথম অভিষিক্ত। কিউইদের সেই প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ক্যাপ নাম্বার ওয়ান উঠেছিল যার মাথায়, তার নাম আন্দ্রে অ্যাডামস। হ্যাঁ, সদ্য নিয়োগ পাওয়া বাংলাদেশের বোলিং কোচ অ্যাডামস। ডানহাতি এ পেসার এক অর্থে দাবি করতেই পারেন, তিনি নিউজিল্যান্ডের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড়। দুই বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হওয়া অ্যাডামস শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকেই যোগ দিবেন বাংলাদেশ দলে। বাংলাদেশে যদিও প্রথম আসা হবে না তার। খেলোয়াড়ি জীবনে যে আসা হয়েছে এ বঙ্গদেশে। সেটি একেবারে প্রথম বিপিএলের সময়। ২০১২ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে অবশ্য ৩ ম্যাচের বেশি খেলেননি। বাংলাদেশে যখন আবার ফিরবেন, মাঠে খেলার কথা চিন্তা করলে ওই ৩ ম্যাচের অভিজ্ঞতটা তাকে সুখস্মৃতি দেবে বলে মনে হচ্ছে না। তিন ম্যাচ মাঠে নেমে যে একটি উইকেট নিয়েও তিনি মাঠ ছাড়তে পারেননি। সবমিলিয়ে আট ওভার বোলিং করে ৭০ রান দিয়ে থেকেছেন উইকেটশূন্য। যার নেতৃত্বে খেলেছিলেন, তার একজনকে কিন্তু এখন কোচ অ্যাডামস পাবেন বাংলাদেশ দলে। খেলেছিলেন খুলনা রয়্যাল বেঙ্গলসের হয়ে। যে দলের অধিনায়ক কে ছিলেন জানেন? সাকিব আল হাসান। নতুন চাকরিতে তাই একেবারে অপরিচিতদের ভিড়ে থাকতে হবে না অ্যাডামসকে। সাকিবের সঙ্গে আরো একজনকেও তো তিনি পাবেন, যার সঙ্গে তার পরিচয় বহুদিনের। তিনি চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া দল নিউ সাউথ ওয়েলসে প্রায় দীর্ঘ পাঁচ বছর বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন অ্যাডামস। সেখান হাথুরুসিংহেকে কয়েক বছর তিনি পেয়েছেন সহকর্মী হিসেবে। বাংলাদেশের হয়ে আগের মেয়াদে ২০১৭ সালে দায়িত্ব ছাড়ার পর শ্রীলঙ্কার কোচ হয়েছিলেন হাথুরু। এরপর লঙ্কানদের দায়িত্ব ২০১৯ সালে ছেড়ে দেওয়ার পর যোগ দিয়েছিলেন আবার নিউ সাউথ ওয়েলসে। আবার বাংলাদশে ২০২৩ সালে ফেরার আগ পর্যন্ত সহকারী কোচ ও ব্যাটিং কোচ হিসেবে সেখানেই ছিলেন হাথুরুসিংহে। ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত নিউ সাউথ ওয়েলসে কাজ করা অ্যাডামসের সঙ্গে তাই বোঝাপড়া ভালোই থাকার কথা হাথুরুসিংহের। এবার তাদের সেই বোঝাপড়া বাংলাদেশের ক্রিকেটেও যথেষ্ট কাজে আসবে, সেই আশায় থাকবে বাংলাদেশ। আগের পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডের অধীনে বাংলাদেশের পেস বোলারদের উন্নতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সেখান থেকে পেসারদের আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটাই হবে অ্যাডামসের কাজ ও বড় চ্যালঞ্জ। কোচিংয়ে অত হাই-প্রোফাইল নাম না হলেও বিগত সময়ে বড় দায়িত্বে কাজ করা শুরু হয়েছিল তার। ২০২৩ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি সিরিজের সময় কিউইদের পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বোলিং কোচ হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতাও রয়েছে এ ডানহাতি পেসারের। বিগ ব্যাশের দল সিডনি সিক্সার্সেরও কোচিং স্টাফে একই ভূমিকায় ছিলেন তিনি চার বছরের বেশি সময়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close