ক্রীড়া প্রতিবেদক
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ ডিসেম্বরেই শেষ চান মন্ত্রী
২০২১ সালে শুরু হওয়া বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ শেষ হয়নি এখনো। কয়েক দফা পেছানোর পর এ বছরের জুনে শেষ করার কথা ছিল, কিন্তু সেটাও হচ্ছে না। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম পরিদর্শনে এলেন নাজমুল হাসান পাপন। জানালেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই সংস্কার কাজ শেষ করতে চান তিনি। দফায় দফায় সংস্কার ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৫ কোটি টাকা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই হচ্ছে না আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার।
মাঠে পানি ছিটানোর জন্য যেখানে স্প্রিংকলার সিস্টেম ব্যবহার করার কথা, সেখানে পুরোনো ধাঁচের ‘জলকামান’ বসানো হয়েছে। মাঠ থেকে যার অবস্থান মাত্র ৩ মিটার দূরে। ফলে অ্যাথলেটদের আঘাত পাওয়ার ঝুঁকি থাকছেই। পানি ছিটানোর এ প্রযুক্তি নিয়ে মন্ত্রীর সামনেই উষ্মা প্রকাশ করেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার। যন্ত্র বসানোর সময় তাদের দেখতে দেওয়া হয়নি দাবি করে ইমরান বলেন, ‘ভুল যন্ত্র বসানোর পর তাদের জানানো হলে এখন ভুল শুধরানোও হচ্ছে না। ঝুঁকিযুক্ত এ যন্ত্র না সরানো হলে মাঠে ফুটবল ফেরানো সম্ভব নয়।’
গণমাধ্যমকর্মীদের বসার স্থান প্রেসবক্সের সামনেও রাখা হয়েছে চারটি পিলার (স্তম্ভ)। ফলে প্রেসবক্সে বসে পুরো মাঠ দেখা সম্ভব নয়। এ স্তম্ভ নিয়ে উষ্মা জানান মন্ত্রীও। এই যে প্রেসবক্স নিয়ে এত কথা হচ্ছে, এ কথাটা আগেই মাথায় আসা উচিত ছিল। আমারও মনে হয়েছে, এ ধরনের পিলার প্রেসবক্সের সামনে আমি সাধারণত কখনো দেখিনি। এ বিষয়গুলো কেন এলো না, সেটা আগে দেখতে হবে। এখন যদি পরিবর্তন করা সম্ভব হয় দেখব, সম্ভব না হলে ভবিষ্যতে যেন এমনটা না হয় সেটা চেষ্টা করব। তবে পরিবর্তনের কথা বলে আরো এক-দুই বছর সময় বাড়ানো সম্ভব না।’
কোনো স্থাপনা করা বা সংস্কার করার আগে যে ফেডারেশন এটার সঙ্গে জড়িত, তাদের চাহিদামাফিক একটা পরিকল্পনা সাজাতে হবে। ওই পরিকল্পনা পাশ হওয়ার পর কারোর কোনো অভিযোগ দেওয়া চলবে না। একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে এনএসসিও কিন্তু এক্সপার্ট (বিশেষজ্ঞ) না।
"