ক্রীড়া ডেস্ক

  ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

বিবর্ণ সিটিকে কক্ষপথে ফেরাতে চান গার্দিওলা

চেনা পরিবেশে সত্যিই যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে অ্যাস্টন ভিলা। তাদের দাপুটে ফুটবলের সামনে পুরোটা সময় কোণঠাসা হয়ে রইল ম্যানচেস্টার সিটি। নিজেদের ছায়া হয়ে থাকা পেপ গার্দিওলার দলকে হারিয়ে লিগ টেবিলে এক ধাপ উপরে উঠল অ্যাস্টন ভিলা। ভিলা পার্কে বুধবার রাতে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে অ্যাস্টন। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন লেওন বেইলি। স্কোরলাইন দেখে অবশ্য বোঝার উপায় নেই ম্যাচে কতটা আধিপত্য বিস্তার করেছে অ্যাস্টন। সিটিকে তো চেনাই যায়নি। ম্যাচজুড়ে আক্রমণের ঢেউ তুলেছে স্বাগতিকরা আর সিটি শুধু তার সামনে টিকে থাকার চেষ্টাই করে গেছে। বিবর্ণ ফুটবল খেলে অ্যাস্টন ভিলার কাছে হারের পর গার্দিওলা স্বীকার করলেন, ধুঁকছে তার দল। একইসঙ্গে দলকে কক্ষপথে ফেরানোর পথ বের করার প্রত্যয়ও জানান অভিজ্ঞ এ স্প্যানিশ কোচ। জয়ে ফেরার লক্ষ্যে আগামী রবিবার লুটন টাউনের মুখোমুখি হবে সিটি। ১৫ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে ৪ নম্বরে নেমে গেছে সিটি। শীর্ষে থাকা আর্সেনালের চেয়ে তারা ৬ পয়েন্ট পিছিয়ে। প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় আছে সিটির ভোগান্তির ছাপ। ভিলা ম্যাচের পর অ্যামাজন প্রাইমে নিজের প্রতিক্রিয়ায় গার্দিওলা বলেন, প্রতিপক্ষের রক্ষণে গিয়ে ধুঁকছে তার দল।

‘আমরা ভুগেছি; বিশেষ করে প্রথমার্ধে আর দ্বিতীয়ার্ধ ছিল সম্পূর্ণ অন্যরকম। সেরা দলই আজ জিতেছে। আমরা জানি, কোন পর্যায়ের দল এবং কোচ হিসেবে ম্যাচ জেতার একটা পথ বের করতে হবে। আমরা এখন কিছুটা ভুগছি। আমি এখানে আছি ওদের সহায়তা করার জন্য। রদ্রি খেলেননি এমন ৪ ম্যাচেই চলতি মৌসুমে হেরেছে সিটি। এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার জন্য ভিলার বিপক্ষে ছিলেন না স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। তিনি খেলেছেন এমন সর্বশেষ ৪৩ ম্যাচে অপরাজিত ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা। তার প্রভাব ভালোভাবেই জানা গার্দিওলার। তাকে ছাড়াও আমাদের জয়ের একটা পথ বের করে নিতে হবে।’ ভিলার বিপক্ষে মাত্র দুটি শট নিতে পারে সিটি। ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগে গার্দিওলার কোচিংয়ে ৫৩৫ ম্যাচের মধ্যে যা কোনো দলের সর্বনিম্ন। একই সময়ে ভিলা গোলের জন্য ২২টি শট নেয়, যা গার্দিওলার কোনো দলের বিপক্ষে যৌথভাবে সর্বোচ্চ। ২০১৭ সালের এপ্রিলের পর সিটি এই প্রথম প্রিমিয়ার লিগে টানা ৪ ম্যাচে জয়শূন্য থাকল। ভিলার বিপক্ষে হারার আগে ড্র করে চেলসি, লিভারপুল ও টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে।

অ্যাস্টন নিজেদের আঙিনায় কতটা ভয়ংকর, তার ইঙ্গিত মেলে ম্যাচের শুরুতেই। ৩ মিনিটেই সিটির রক্ষণে ভীতি ছড়ায় তারা। পরের ৪ মিনিটে তৈরি করে দারুণ দুটি সুযোগও। এদেরসনকে যদিও পরাস্ত করতে পারেনি দলটি। ডি-বক্সে ঢুকে লেওন বেইলির কাছের পোস্টে নেওয়া শট ফেরানোর পর পাও তরেসের শটও দারুণ নৈপুণ্যে ঠেকিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক। ১১ মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য আক্রমণ শানাতে পারে সিটি। মুহূর্তের ব্যবধানে দুবার দলকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পান হালান্ড; কিন্তু তিনিও পারেননি শেষ বাধা পেরোতে। প্রথমবার তার শট ঝাঁপিয়ে ফেরালেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। সতীর্থের পা ঘুরে গোলমুখে ফের বল পেয়ে হেড করেন হালান্ড, ঠিক সময়ে পজিশন নিয়ে গোললাইন থেকে ফেরান আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close