ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

স্বাধীনতা কাপ

কষ্টের জয়ে সেমিতে মোহামেডান

মোহামেডানের খেলায় দেখা গেল না চেনা ধার। চট্টগ্রাম আবাহনীও নিজেদের গুটিয়ে রাখল। নিষ্প্রাণ ম্যাচে যা একটু প্রাণ ফিরল অতিরিক্ত সময়ে; মোজাফ্ফরভেরের ফ্রিকিক গোলে। এ গোলেই জিতে স্বাধীনতা কাপের সেরা চারে উঠল মোহামেডান। মুন্সীগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে গতকাল মঙ্গলবার প্রতিযোগিতার তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে মোহামেডান।

শুরু থেকে দুদলই খেলতে থাকে সাবধানী ফুটবল। তবে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় যা একটু গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল কেবল মোহামেডানই, কিন্তু চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানার বাধা ভাঙতে পারেননি তারা। ২৪ মিনিটে গায়ের সঙ্গে সেঁটে ডিফেন্ডারকে পেছনে থেকে বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে উঠেন সুলেমানে দিয়াবাতে, কাছের পোস্টে জোরাল শটও নেন মালির এ ফরোয়ার্ড। তারপরও দারুণ সেভে জাল অক্ষত রাখেন রানা।

৩৪ মিনিটে সতীর্থের লং পাস ধরে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে উঠেন দিয়াবাতে। তার পাশেই ছুটছিলেন ডিফেন্ডার নাসিরউদ্দিন চৌধুরী। রানাও দ্রুত এগিয়ে এসে পথ আগলে দাঁড়ানোয় দিয়াবাতের শট নেওয়ার জায়গা কমে যায়। পরে মোহামেডানের এ ফরোয়ার্ড শট নিলেও রানা কর্নারের বিনিময়ে ক্লিয়ার করেন। ৬৫ মিনিটে মোজাফ্ফরভেরের দূরপাল্লার শট অনেকটা লাফিয়ে উঠে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান রানা।

এরপর অতিরিক্ত সময়ের সপ্তম মিনিটে ভাঙে রানার প্রতিরোধের দেয়াল। বক্সের বেশ খানিকটা বাইরে থেকে মোজাফ্ফরভের বাঁকানো গতিময় ফ্রি কিক ঝাঁপিয়েও ফেরাতে পারেননি চট্টগ্রাম আবাহনীর এ গোলরক্ষক। ১১৬ মিনিটে ইয়াসিন খানের ভুল পাসে বল পেয়ে যান মোহামেডানের সাকিব, তাকে টেনে ফেলে দিয়ে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন আরিফ। ১০ জনের দলে পরিণত হয় চট্টগ্রাম আবাহনী। মোজাফ্ফরভের ফ্রি কিক আটকে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে দেননি রানা। যোগ করা সময়ে আরিফের সামনে সুযোগ ছিল ব্যবধান দ্বিগুণ করার, কিন্তু তার শট দূরের পোস্টের বাহিরে বেরিয়ে গেলেও সবশেষ ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়নদের সেমিফাইনালে উঠার আনন্দে ভাটা পড়েনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close