ক্রীড়া প্রতিবেদক
কিছুই বদলায়নি
‘খারাপ খেললে সমালোচনা হবেই’
বাইরের আলোচনায় কান না দিয়ে নিজেদের ভুল শুধরে আরো সামনে এগিয়ে যেতে চান নাজমুল হোসেন শান্ত। নিয়মিত ৫ ক্রিকেটারের অনুপস্থিতি, বিশ্বকাপে ভরাডুবি, নিউজিল্যান্ডের পূর্ণ শক্তির দলের চ্যালেঞ্জ, সিলেটে সবকিছু সামলেই দাপুটে পারফরম্যান্সে অনেক দিন মনে রাখার মতো ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। তবে এ জয়ের কারণে এক নিমেষেই সবকিছু বদলে যায়নি, সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন শান্ত।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরুর আগে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কিছুটা হলেও এগিয়ে রাখা হয়েছিল নিউজিল্যান্ডকে। কিন্তু তিন বিভাগেই দারুণ পারফরম্যান্সে সফরকারীদের পর্যুদস্ত করেছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে বোলিং-ফিল্ডিংয়ে প্রায় নিখুঁত ছিল দল। সবকিছু মিলিয়ে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে প্রথম ম্যাচেই মিলেছে স্মরণীয় এক জয়। তবে উচ্ছ্বাসে ভেসে যাচ্ছে না দল। বিশ্বকাপে দল ভালো করতে পারেনি মোটেও, সেখান থেকে এখন কী বদলে গেল- এ প্রশ্নে বরং বাস্তবতার কথাই যেন মনে করিয়ে দিলেন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। ‘কিছুই বদলায়নি (বিশ্বকাপের দল থেকে)। বাইরে কথা হতেই থাকবে। এখন অনেক ভালো কথা হবে। আবার একটা ম্যাচ খারাপ করলে অনেক খারাপ কথা হবে, সমালোচনা হবে। এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ওটা নিয়ে আমরা চিন্তাও করি না।’
‘যেটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে, আমরা প্রতি ম্যাচে কীভাবে পরিকল্পনা করে আসতে পারি, প্রক্রিয়াটা কী... সেটা নিয়মিত করার চেষ্টা করি। আজকের ম্যাচটা জিতেছি- এমন না যে সবকিছু ঠিক ছিল। এ ম্যাচে কী ভুল ছিল, এগুলো ঠিক করে কীভাবে পরের ম্যাচে এগোতে পারি সেটাই আমাদের পরিকল্পনা থাকে।’
ওয়ানডের মতো টেস্টেও শান্তর অধিনায়কত্ব পাওয়ার পরিস্থিতি একদমই আদর্শ নয়। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের চোট, সহ-অধিনায়ক লিটন কুমার দাসের ছুটিতে দুই টেস্টের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে শান্তকে। এর সঙ্গে ছিল বিশ্বকাপ ব্যর্থতা ভুলে নতুন শুরুর তাগিদ, একঝাঁক নিয়মিত ক্রিকেটারের অনুপস্থিতি।
সব মিলিয়ে তুলনামূলক অনভিজ্ঞ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাঁহাতি টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান। আর প্রথম ম্যাচে তাকে অনায়াসে ‘লেটার মার্ক’ দেওয়াই যায়। মাঠে সবার সঙ্গে সম্পৃক্ততা, ফিল্ড সাজানো কিংবা বোলার পরিবর্তনে দেখা গেছে শান্তর চৌকসভাব। আর মাঠের বাইরে কীভাবে দলকে অনুপ্রাণিত করেছেন, সে কথাও শোনান তিনি। ‘প্রথমত, যেটা আমি বলেছি, এ দুটি ম্যাচই আমরা জেতার জন্য খেলব। আমরা জিততে পারি, এ বিশ্বাসটা যেন সবার মধ্যে থাকে। আমরা ফল নিয়ে খুব একটা চিন্তা করিনি। আমি একটা কথাই বলেছি, নির্দিষ্ট মুহূর্তে আমাদের কী করা উচিত, তা করার চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয়, বোলাররা বিশেষ করে খুব ভালোভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছে। ফিল্ডাররাও ভালো করেছে।’
"