ক্রীড়া ডেস্ক

  ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

মেসি-এমবাপ্পের দু’রকম রাত

জয়ে ফিরল পিএসজি

দুই দফায় নেওয়া পেনাল্টি শটে ব্যর্থতার কিছুক্ষণ পর চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। আগে থেকেই নেই নেইমার, স্বাভাবিকভাবে ভীষণ চাপ পড়ে লিওনেল মেসির ওপর। শঙ্কা কাটিয়ে দলকে সামনে থেকে পথ দেখালেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। দারুণ সব আক্রমণে নেতৃত্ব দিলেন, গোলও পেলেন। সঙ্গে আলো ছড়ালেন ফাবিয়ান রুইস। তাদের নৈপুণ্যে মোঁপেলিয়েকে হারিয়ে লিগ ওয়ানে জয়ে ফিরল পিএসজি। প্রতিপক্ষের মাঠে ৩-১ গোলে জিতেছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। তিনটি গোলই হয় দ্বিতীয়ার্ধে।

রুইস দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর তার বাড়ানো বল ধরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মেসি। শেষদিকে ব্যবধান কমিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলে মোঁপেলিয়ে। তবে যোগ করা সময়ে ওয়ারেন জায়ার-এমেরির গোলে স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে গালতিয়ের দল। রেঁনের বিপক্ষে ১-০ গোলে হারের পর রেঁমেসের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের গোলে ১-১ ড্র করে পিএসজি। এই দুই ধাক্কা কাটিয়ে পাওয়া জয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থান আরেকটু শক্ত হলো তাদের।

২১ ম্যাচে ১৬ জয় ও তিন ড্রয়ে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে পিএসজি। সমান ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে উঠে এসেছে মার্সেই। নিঁসের কাছে ১-০ ব্যবধানে হেরে যাওয়া লিঁনেস নেমে গেছে তিন নম্বরে, তাদের পয়েন্ট ৪৫। ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারত পিএসজি। মেসির ফ্রি কিকে ডি-বক্সে সের্হিও রামোসকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় সফরকারীরা। অষ্টম মিনিটে ডানদিকে এমবাপ্পের স্পট কিক ঝাঁপিয়ে ঠেকান মোঁপেলিয়ে গোলরক্ষক।

তবে ফরাসি ফরওয়ার্ড শট নেওয়ার আগেই গোলরক্ষক লাইন ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। তাই ভুল শুধরে নেওয়ার আরেকটি সুযোগ পান এমবাপ্পে। এবার তার বুলেট গতির শট কাঁপায় বাঁ দিকের পোস্ট। ফিরতি বলেও সুযোগ ছিল, তবে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি এমবাপ্পে। ২১তম মিনিটে মাঠ ছাড়েন এমবাপ্পে। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে সমস্যা হ্যামস্ট্রিংয়ে। ১০ মিনিট পর তাকে অনুসরণ করেন রামোস। এর একটু আগে হেড করতে গিয়ে মাথায় ব্যথা পেয়েছিলেন তিনি। মাঠ ছাড়ার সময় মাথাতেই কোনো সমস্যা হওয়ার ইঙ্গিত দেন স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার। ৩৪তম মিনিটে মেসির শট মোঁপেলিয়ের একজনের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। তবে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক অফসাইডে থাকায় গোল মেলেনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে তার শট কাঁপায় পাশের জাল। ৫২তম মিনিটে বল জালে পাঠান আশরাফ হাকিমি। তবে আক্রমণের এক পর্যায়ে রুইস অফসাইডে থাকায় গোল মেলেনি। তিন মিনিট পর স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডারই এগিয়ে নেন দলকে। উগো একিতিকের বাড়ানো থ্রু বল ধরে অনায়াসে জালে পাঠান তিনি। ৬২তম মিনিটে ভিতিনিয়ার শট ব্যর্থ হয় পোস্টে লেগে। এর ১০ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মেসি। রুইসের বাড়ানো বল ধরে গোলরক্ষককে অনায়াসে কাটিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে পাঠান তিনি। কাতারে বিশ্বকাপ জিতে আসার পর প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে এটাই মেসির প্রথম গোল। শেষ দিকে গোলের জন্য মরিয়া চেষ্টায় ব্যবধান কমায় মোঁপেলিয়ে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close