স্বাস্থ্য ডেস্ক

  ১৬ মে, ২০২৪

শরীরের পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করবে যেসব পানীয়

গ্রীষ্মের প্রখর রোদের দিনগুলোতে মানুষ হাঁসফাঁস করছে। এ সময় আপনার শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখা সবচেয়ে জরুরি। কেবল পিপাসা মেটাতে নয়, বরং সারাদিন আপনি উজ্জীবিত আছেন কি না তা নিশ্চিত করার জন্য নিজেকে হাইড্রেটেড রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। পানির ছাড়াও কিছু সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর পানীয় রয়েছে যা শরীরে পানিশূন্যতা প্রতিরোধে কাজ করে। হাইড্রেটিং পানীয়গুলোতে প্রচুর পরিমাণে ইলেক্ট্রোলাইটস, সোডিয়াম, ভিটামিন, প্রোবায়োটিকস এবং খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়। এই গরমে আপনাকে হাইড্রেটেড রাখবে এমন কিছু পানীয় দেখে নিন-

লেবুর শরবত : এক গ্লাস লেবু পানি বা লেবুর শরবত হাইড্রেটিং পানীয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। পুষ্টিবিদদের পরামর্শ অনুযায়ী, প্রতিদিন দু’টি লেবুর রস এবং এক চিমটি লবণ দিয়ে তৈরি লেবুর পানীয় শরীরকে হাইড্রেট রাখে। তাছাড়া এটি ভিটামিন সি এর চমৎকার উৎস।

দুধ : দুধে ভালো মানের কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং সোডিয়াম রয়েছে যা শরীরে তরলের চাহিদা পূরণ করে। তাই দুধ ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধের জন্য বেশ উপকারী। দুধের তৈরি মিল্কশেক, স্মুদি বা দই দিয়ে তৈরি বাটারমিল্ক বা লাস্যি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখুন।

ডাবের পানি : ডাবের পানিকে সেরা হাইড্রেটিং পানীয় বলা হয়। পটাসিয়াম সমৃদ্ধ ডাবের পানিতে ক্যালোরির উপস্থিতি কম থাকে। গরমের সময়ে ছোট শিশুদের খেলাধূলার ফাঁকে ডাবের পানি তাদের জন্য স্বাস্থ্যকর বিকল্প পানীয় হতে পারে।

শসার জুস : হাইড্রেটিং বিভিন্ন সবজীর মধ্যে শসা একটি এবং শসাতে প্রায় ৯০ শতাংশ পানি পাওয়া যায়। ফলের রসে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে বলে ফলের রস থেকে সবজির রস হাইড্রেশনের জন্য ভালো। এছাড়া বিটরুটের জুস হাইড্রেশনের জন্য দুর্দান্ত এবং এটি শরীরে প্রাকৃতিক রক্ত পরিশোধকের মতো কাজ করে। আবার কমলার জুসেও প্রচুর ইলেক্ট্রোলাইটস থাকায় এটি শরীরকে হাইড্রেট রাখে।

ভেষজ চা : ভেষজ চা যেমন জবা ফুলের চা, গোলাপ চা, ক্যামোমাইল চা কে চমৎকার হাইড্রেটিং পানীয় বলা হয়। এই পানীয়গুলো ক্যাফিন মুক্ত হওয়ায় এটি আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে এবং মনকে শিথিল করে।

চিয়া পানীয় : চিয়া বীজ খাওয়ার সর্বোত্তম উপায় হলো এটি পানিতে ভিজিয়ে রেখে পান করা। চিয়া বীজ পানিতে ভিজিয়ে রাখার কয়েক মিনিটের

মধ্যেই আয়তনে তিনগুণ হয়ে যায়। এই পানীয়টি গরমের দিনগুলোতে আপনার শরীরকে ঠাণ্ডা

রাখে। দুধ বা নারকেলের দুধে চিয়া বীজ ভিজিয়ে রেখে সামান্য মধু যোগ করে শরীরের জন্য

উপকারী একটি হাইড্রেটিং পানীয় তৈরি করতে পারেন।

অ্যালোভেরার জুস : অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ অ্যালোভেরার জুস অন্ত্রকে ডিটক্সিফাই করে। অ্যালোভেরার হাইড্রেটিং পানীয় তৈরি করতে অ্যালোভেরা পাতার জেল কেটে পানিতে ডুবিয়ে রাখতে পারেন। সেটা দিয়ে তৈরি হতে পারে অ্যালোভেরা সমৃদ্ধ পানীয়।

ডিটক্স পানীয় : এক জগ পানিতে শশা, আপেল বা কমলার স্লাইস, পুদিনা পাতা, লেবু (স্লাইস করে কাটা) নিয়ে সারারাত ফ্রিজে রেখে দিন। এতে ফলে থাকা চিনির উপাদান পাতলা হয়ে যায়। এই পানীয়টি সারাদিন উপভোগ করুন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close