প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৯ জুন, ২০২৪

জাতিসংঘের কালো তালিকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী

ফিলিস্তিনের গাজায় হাজার হাজার শিশু নিহতের ঘটনায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে (আইডিএফ) কালো তালিকাভুক্ত করেছে জাতিসংঘ। বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাড এরদান। তবে এক্সে এক পোস্টে জাতিসংঘের এই পদক্ষেপকে ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন গিলাদ। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।

গাজায় গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গত আট মাসের হামলায় এ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৭৩১ জন নিহত এবং ৮৩ হাজার ৫৩০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও বোমা হামলায় বিধ্বস্ত ঘরবাড়ির ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে রয়েছেন আরো ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। হতাহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

এরই মধ্যে শুক্রবার এক বিবৃতিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, গাজায় নিহতদের মধ্যে ১৫ হাজার ৫০০ জনের বেশি শিশু। এছাড়াও গত আট মাসে হামলায় হাত-পা হারিয়ে পঙ্গু হয়েছে অন্তত ৩ হাজার শিশু।

গাজা উপত্যকায় শিশুদের ওপর এমন বর্বর হামলার কারণে দখলদার ইসরায়েলি সেনাবিহনীকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে জাতিসংঘ। কালো তালিকাভুক্তির বিষয়টি আগামী সপ্তাহে নিরাপত্তা পরিষদের এক প্রতিবেদনে পেশ করা হবে। বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবেই ইসরায়েল জানানো হয়েছে।

এদিকে জাতিসংঘের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষেপে গেছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর প্রশাসন। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাড এরদান এক্সে এক পোস্টে বলেন, জাতিসংঘের এই পদক্ষেপ ‘লজ্জাজনক’।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, হামাসকে সমর্থন জানিয়ে জাতিসংঘ ইসরায়েলকে নয়, নিজেকে ইতিহাসের কালো তালিকাভুক্ত করেছে।

এদিকে জাতিসংঘের সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তিনি বলেন, আরো অনেক আগেই ইসরায়েলকে কালো তালিকাভুক্ত করা উচিত ছিল।

আট মাসে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩৬৩৭১

গাজায় সর্বশেষ শনিবার ভোর পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৭ জন নিহত। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে উৎখাতের নামে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় গত ৭ অক্টোবর থেকে ৭ জুন (শুক্রবার) পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৭৩১ জন ফিলিস্তিনি। গত আট মাসে আহত হয়েছেন আরো ৮৩ হাজার ৫৩০ জন। গাজার কর্তৃপক্ষ আরো জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিধ্বস্ত ঘরবাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে আরো ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। যাদের উদ্ধার করাই সম্ভব হয়নি।

জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে, গাজায় হতাহতদের মধ্যে ৭২ শতাংশই নারী ও শিশু।

ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজার আবাসিক ভবন, হাসপাতাল, আশ্রয়শিবির, স্কুল, মসজিদণ্ডমন্দির, অ্যাম্বুলেন্স কিছুই রেহাই পায়নি।

জাতিসংঘের তথ্য মতে, গাজা উপত্যকাজুড়ে ৯০ শতাংশের বেশি স্থাপনা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। উদ্বাস্তু হয়েছেন ২০ লাখের বেশি মানুষ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close