প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৪ মে, ২০২৪

শিয়া ইমাম রেজার মাজারে সমাহিত রাইসি

শিয়া ইমাম রেজার মাজারে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। নিজ শহর মাশহাদেই হলো তার শেষ ঠিকানা। গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে শেষ বিদায় জানাতে জড়ো হন লাখ লাখ মানুষ। খবর আলজাজিরার।

ইরানের সীমান্ত প্রদেশ পূর্ব আজারবাইজানে গত রবিবার বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে মারা যান প্রেসিডেন্ট রাইসি। একইসঙ্গে মারা যান তার সফরসঙ্গী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ আরো আটজন। এ ঘটনায় দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে আসে। রাইসির মৃত্যুতে পাঁচ দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ৬৩ বছর বয়সি প্রয়াত প্রেসিডেন্ট রাইসির জন্ম ও বেড়ে ওঠা ইরানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মাশহাদে। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহরটিতে শিয়াদের অষ্টম নেতা ইমাম রেজার মাজার। সেই মাজারেই বৃহস্পতিবার দাফন করা হয় রাইসিকে, যা মর্যাদাপূর্ণ বলে মনে করা হয়।

আগের দিন বুধবারই মাশহাদে দাফনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেন কর্মকর্তারা। শহরের রাস্তায়; বিশেষ করে ইমাম রেজা মাজারের চারপাশজুড়ে রাইসির বড় বড় ছবি, কালো পতাকা এবং শিয়াদের নানা প্রতীক টানানো হয়। এর আগে মঙ্গলবার পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ইব্রাহিম রাইসির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে লাখ লাখ শোকার্ত মানুষ তার শোকর‌্যালিতে শামিল হন। পরে তাবরিজ থেকে রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানের মরদেহ ইরানের মধ্যাঞ্চলের ঐতিহাসিক কোম শহরে নেওয়া হয়। সেখানেও তাদের জানাজা হয়। এরপর রাইসি ও আবদুল্লাহিয়ানের মরদেহ নেওয়া হয় রাজধানী তেহরানে। বুধবার রাজধানী তেহরানে রাইসির জানাজায় শোকার্ত হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। জানাজা পড়ান সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।

তেহরান থেকে রাইসির মরদেহ বহনকারী বিমান বৃহস্পতিবার দুপুরে মাশহাদের হাশেমিনেজাদ বিমানবন্দরে পৌঁছে। মাশহাদে তাকে শেষ বিদায় জানাতে জড়ো হন লাখ লাখ মানুষ। মাশহাদে বসবাসরত বিদেশি কূটনীতিকদের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশের কর্মকর্তারাও রাইসির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মাশহাদে পৌঁছেন। মাশহাদে সক্রিয় জাতিসংঘসহ ইরাক, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, তুরস্ক, তুর্কমেনিস্তান, সৌদি আরবের মতো দেশগুলোর কনস্যুলেট ও প্রতিনিধি অফিসের কর্মকর্তারাও যোগ দেন রাইসির শেষ বিদায়ে। রাইসি হচ্ছেন ইরানের প্রথম রাজনৈতিক নেতা, যার দাফন হলো একজন ইমামের মাজারে। এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানের দাফন হয়েছে শাহরি-ই রে শহরের শাহ আবদুল আজিমের মাজারে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close