নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৪ মে, ২০২৪

এমপি আজিম খুন

বন্ধু শাহিনের পরিকল্পনায় শ্বাসরোধে হত্যা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসার জন্য গিয়ে পরিকল্পিত ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বাংলাদেশে তিন ও কলকাতায় একজনকে আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিছু তথ্য জানতে পেরেছেন বাংলাদেশ ও কলকাতা পুলিশের কর্মকর্তারা। তবে মূল পরিকল্পনাকারী শাহিন আটক নাকি পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন, তা জানায়নি দুই দেশের পুলিশ। যদিও তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ, যা ঘিরে রহস্য আরো জমাট বাঁধছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৩ মে নিউটাউনের সঞ্জিভা গার্ডেনেই শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় আজিমকে। খুনের পর টুকরো টুকরো করে কাটা হয় মরদেহ। ১৬ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত তিন দিন ধরে খণ্ডিত অংশ অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়। কিছু অংশ ওই ফ্ল্যাটের ফ্রিজে রাখা হয়।

ফ্ল্যাট থেকে প্লাস্টিক ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। সেই ব্যাগে ভরেই খণ্ডিত অংশ বিভিন্ন জায়গায় ফেলা হয়েছে। তবে কারা ফেলেছে, কোথায় ফেলা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। এদিকে আজিম খুনে গ্রেপ্তার সৈয়দ আমানুল্লাহ খুলনা অঞ্চলের কুখ্যাত সন্ত্রাসী শিমুল ভূঁইয়া বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিনি চরমপন্থি সংগঠন পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম শীর্ষনেতা। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, ঢাকায় এসে মোহাম্মদপুরের বোনের বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন আমানুল্লাহ। সেখান থেকেই তাকে আটক করা হয়েছে।

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমকে যারা হত্যা করেছে, তাদের চিহ্নিত করার প্রায় কাছাকাছি এসে গেছি। শুধু ঘোষণার বাকি। ঘোষণা দেওয়া হবে দুই দেশের গোয়েন্দারা একমত হতে পারলে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। আসাদুজ্জামান খান বলেন, এ পর্যন্ত নতুন কিছু আমাদের কাছে আসেনি। দুই দেশ থেকেই আমরা কাজ করছি; যাতে আরো কিছু তথ্য বেরিয়ে আসে। আমরা নিশ্চিত হয়েছি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। যারা হত্যা করেছে, তাদের মুখ থেকে আমরা এগুলো শুনেছি।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দু-তিন মাস আগে অপরাধীরা পরিকল্পনা করেছিল রাজধানীর গুলশান ও বসুন্ধরার বাড়িতে এমপি আজিমকে হত্যার। কিন্তু পুলিশের নজরদারির কারণে হত্যাকারীরা কলকাতায় নিয়ে এমপিকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, এমপি আজিমের হাড় ও মাংস আলাদা করে তাতে হলুদ মেশানো হয়েছিল। পরে স্যুটকেসে করে সেগুলো সরানো হয়। হত্যার পর আজিমের মোবাইল থেকে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয় পরিকল্পনার অংশ হিসেবে। খুন করতে অবৈধভাবে ভারতে আসে সিয়াম নামে এক খুনি। বাংলাদেশে ফেরত যাওয়ার পথে গোপালনগর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। প্রাথমিক জেরায় তিনি জানান, দেহ লোপাট করতে তিনি ব্যাগে ভরে অন্যদের কাছে দিয়েছিলেন। এ কাজে চারটি গাড়ি ব্যবহৃত হয়েছিল। যার মধ্যে দুটি গাড়ি পুলিশ ধরতে পেরেছে।

ডিবিপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে অপরাধ করার সাহস পাননি অপরাধীরা। বিদেশের মাটিতে অপরাধ করলে বাংলাদেশ পুলিশের নজরে আসবে না, তাই অপরাধীরা কলকাতাকে বেছে নিয়েছেন হত্যার নিরাপদ স্থান হিসেবে। তবে বিদেশের মাটিতে এ হত্যাকাণ্ডের পরও তারা পালিয়ে থাকতে পারেননি। আমরা তিনজকে গ্রেপ্তার করেছি। আরো কয়েকজনকে নজরাদিতে রাখা হয়েছে। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান ও ফয়সাল আলী ওরফে সাজি। শুক্রবার (আজ) তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে।

অন্যদিকে আজিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অধিকতর তদন্তের জন্য ভারতীয় পুলিশ দুই সদস্যের একটি দল বৃহস্পতিবার ঢাকায় এসেছে। তারা হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকেই ডিবি কার্যালয়ে যান। সেখানে তারা হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি গ্রেপ্তার তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। এর আগে আজিমকে হত্যার ঘটনায় আরো একজনকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ। গ্রেপ্তার যুবকের নাম যুবের ওরফে সিয়াম। তিনি নিউটাউনের সঞ্জিভা গার্ডেনের ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি জানায়, প্রবাসী বাংলাদেশি সিয়াম যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। ঘটনার দিন ১৩ মে সঞ্জিভা গার্ডেনের ওই ফ্ল্যাটে তিনি উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ ও অন্যান্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, আজিম খুনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন সৈয়দ আমানুল্লাহ পরিচয়দানকারী শিমুল ভূঁইয়া। তার বাড়ি খুলনার ফুলতলার দামোদর ইউনিয়নে। ঢাকায় ধরা পড়ার পর পুলিশের কাছে শিমুল ভূঁইয়া নিজেকে সৈয়দ আমানুল্লাহ নামে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি আমানুল্লাহ নামেই পাসপোর্ট বানিয়েছেন, সেই পাসপোর্টে তিনি ভারতের কলকাতা গিয়েছিলেন। ২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকা থেকে পাসপোর্টটি করা হয়েছিল। পাসপোর্ট করতে একই নামে জাতীয় পরিচয়পত্রও (এনআইডি) তৈরি করেছেন। তবে কীভাবে তিনি শিমুল ভূঁইয়া থেকে আমানুল্লাহ হলেন এবং পাসপোর্ট ও এনআইডি তৈরি করলেন, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন গোয়েন্দারা।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, কলকাতার নিউটাউনের ফ্ল্যাটে এমপিকে খুন করে ১৫ মে দেশে ফেরেন আমানুল্লাহ। পরে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন আজিমকে তারা খুন করেছেন। খুনের জন্য আজিমের বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিনের সঙ্গে তার চুক্তি হয়। আজিমের সঙ্গে শাহিনের সোনা চোরাচালান ও হুন্ডি ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র বলছে, আমানুল্লাহর বিরুদ্ধে খুনসহ অন্তত দুই ডজন মামলা আছে। গণেশ নামে এক ব্যক্তিকে খুন করে যশোরের অভয়নগর থানার এক মামলায় তিনি ৭ বছর (১৯৯১-৯৭) জেল খাটেন। ইমান আলী নামে এক ব্যক্তিকে খুনের ঘটনায় ২০০০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জেল খাটেন।

গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আমানুল্লাহ জানান, এমপি আজিমকে হত্যার জন্য ৫ কোটি টাকা দিতে চেয়েছিলেন শাহিন। হত্যাকাণ্ডের আগে তাকে কিছু টাকা পরিশোধ করা হয়। বাকি টাকা দেওয়ার কথা ছিল হত্যাকাণ্ডের পর। সূত্র জানায়, গত ৩০ এপ্রিল শাহিন আমানুল্লাহ ও বান্ধবী শিলাস্তি রহমানকে নিয়ে কলকাতা যান। সেখানে আগে থেকেই সঞ্জিভা গার্ডেনের ফ্ল্যাটে ওঠেন তারা। কলকাতায় আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন শাহিনের দুই সহযোগী সিয়াম ও জিহাদ। সেখানেই তারা এমপি আজিমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। হত্যার দায়িত্ব আমানুল্লাহকে বুঝিয়ে দিয়ে ১০ মে দেশে আসেন শাহিন। পরিকল্পনা অনুযায়ী আমানুল্লাহ ১১ মে বাংলাদেশ থেকে ফয়সাল ও মোস্তাফিজ নামে দুই ভাড়াটে খুনিকে নিয়ে যান কলকাতায়।

আমানুল্লাহর বরাত দিয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, এমপি আজিমের ১২ মে কলকাতায় যাওয়ার খবর আগেই জানতেন শাহিন। তাকে হত্যার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলেন তার গ্যাংকে। তারা একাধিক চাপাতিও সংগ্রহ করে রাখেন। গত ১২ মে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে কলকাতায় যান আজিম। প্রথম দিন তিনি বন্ধু গোপালের বাড়িতে থাকেন। পরদিন ১৩ মে তাকে সঞ্জিভা গার্ডেনের সেই ফ্ল্যাটে কৌশলে ডেকে নিয়ে যান হত্যাকারীরা। বিকেলের দিকে এমপি ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন। এরপর আমানুল্লাহ তার সহযোগী ফয়সাল, মোস্তাফিজ, সিয়াম ও জিহাদ মিলে এমপিকে চাপাতির মুখে জিম্মি করেন। এ সময় তারা এমপির কাছে শাহিনের পাওনা টাকা পরিশোধের কথা বলেন। বিষয়টি নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে সবাই আজিমকে জাপটে ধরে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেন। হত্যার পর আমানুল্লাহ বিষয়টি জানান শাহিনকে।

আমানুল্লাহর দেওয়া তথ্যের বরাতে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, শাহিনের পরামর্শমতো মরদেহ গুম করতে কেটে টুকরো টুকরো করা হয়। এরপর ফ্ল্যাটের কাছেই শপিংমল থেকে আনা হয় দুটি বড় ট্রলিব্যাগ ও পলিথিন। মরদেহের টুকরোগুলো পলিথিনে পেঁচিয়ে ট্রলিব্যাগে ভরা হয়। রাতে মরদেহের টুকরোসহ দুটি ট্রলিব্যাগ ফ্ল্যাটেই রাখা হয়। এর মধ্যে তারা বাইরে থেকে ব্লিচিং পাউডার এনে ফ্ল্যাটের রক্তের দাগ পরিষ্কার করেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, কলকাতা পুলিশ ওই ফ্ল্যাট ও আশপাশের ভবনের সব সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আমানুল্লাহ ও তার সহযোগীদের ট্রলিব্যাগ আনা-নেওয়া, বাইরে রাখা এমপির জুতা ভেতরে নেওয়ার দৃশ্যও দেখা যায়। এছাড়া শিলাস্তির বাইরে থেকে পলিথিন ও ব্লিচিং পাউডার নিয়ে আসার দৃশ্যও দেখা গেছে। আরো দেখা যায় হত্যাকাণ্ডের পরদিন বিকেলে একটি ট্রলিব্যাগ হাতে নিয়ে ফ্ল্যাট থেকে বের হন আমানুল্লাহ।

জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে তিনি জানান, ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে পাশের একটি শপিংমলের সামনে ট্রলিব্যাগটি সিয়ামের হাতে তুলে দেন। সিয়াম ব্যাগ নিয়ে আগে থেকেই ভাড়া করা রাখা গাড়ি নিয়ে অজ্ঞাত স্থানের দিকে চলে যান। তবে সেই গাড়িচালক কলকাতা পুলিশকে জানান, সিয়াম কিছু দূর যাওয়ার পর ব্যাগটি নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। লাশের টুকরো আরেকটি ব্যাগে ছিল। সেই ব্যাগ থেকে দুর্গন্ধও ছড়ানো শুরু করেছিল। ব্যাগটি সহযোগীদের অন্য কোথাও ফেলে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে ১৫ মে শিলাস্তিÍকে নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন আমানুল্লাহ।

বন্ধু হত্যায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে তার বন্ধু আক্তারুজ্জামান শাহিনের নাম জানিয়েছে পুলিশ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি দাবি করেছেন, বন্ধু হত্যায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ফোনে একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে শাহিন বলেন, ‘আমাকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানতাম না, আর আমি ওখানে ছিলামও না। ইন্ডিয়ায় ছিলামও না। সো, আমি কারো সঙ্গে কথা বলব না। আমার আইনজীবীরাও বলেছেন, কারো সঙ্গে কথা না বলতে। মানুষ বাংলাদেশে অনেক কথাই বলে। যদি তাদের কাছে প্রমাণ থাকে, তাদের দেখাতে বলেন।’ শাহিন বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে ছিলামও না। আমার বাসায় আমার বন্ধু (আনোরুল আজিম আনার) আমার কাছে চাবি চাইছিল। সে আমার সঙ্গে গেছিল। কয়েকবার ট্রিটমেন্টের জন্য গেছে। তারপর একবার যখন বলেছি যে, বাংলাদেশ পুলিশ আমার সঙ্গে কথা-টথা বলতেছে যে আমার বন্ধু রেসপন্ড (সাড়া) হচ্ছে না, তখন আমি চলে আসছি এ দেশে। চলে এসে তাদের (পুলিশ) সঙ্গে কথা বলেছি।’

বন্ধু খুনের বিষয়ে মাস্টারমাইন্ড বলার বিষয়ে আক্তারুজ্জামান শাহিন বলেন, ‘আমাকে বলা হচ্ছে মাস্টারমাইন্ড। তো তারা (পুলিশ) আমাকে বলেছে কারো সঙ্গে কথা না বলতে। বাংলাদেশ সরকার বা পুলিশের কাছে কোনো ডকুমেন্ট থাকলে তারা এখানে দেক। প্রমাণ হলে সেটা হবে। আমি এর বাইরে আর কথা বলতে চাচ্ছি না।’ কলকাতায় যে ফ্ল্যাটে হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, সেটির ভাড়া করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আচ্ছা আমি যদি এখন ফ্লাট ভাড়া নেই, আমি কি আমার ফ্লাটে এ ধরনের কাজ করব? আমার ফ্ল্যাটেই আমি করব এটা? আপনাদের একটু সেন্স থাকা উচিত। আমি ফ্রেমড হইছি এবং এখানে আসছি। এদেশে (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) আইনের প্রটেকশন আছে এবং আমার ল’ইয়ার বলেছেন, ফোন দিয়েছে তাই ধরেছি। এখন রাত অনেক।’

৫ কোটি টাকায় খুনের কথা উড়িয়ে দিয়ে শাহিন বলেন, ‘আমার পাসপোর্ট রেকর্ড দেখেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। আমাকে বলা হচ্ছে আমি নাকি ৫ কোটি টাকা দিয়েছি। কীভাবে আমি ৫ কোটি টাকা দিয়েছি? কোথায় পেলাম আমি এ ৫ কোটি টাকা? এগুলা বললে আপনারা বলেন। আর আমার এগুলা শোনা ছাড়া আর কী করার আছে? ঘটনা কবে ঘটেছে, আমি তো পেপারে দেখেছি। আর আমি তো সে সময় বাংলাদেশে ছিলাম।’ শাহিন বলেন, ‘আমার ড্রাইভার, আমি যদি অন্যায় করে থাকি আমার ড্রাইভার তো করে নাই। আমার গাড়ি, আমার বাসা, আমার সবকিছু নিয়ে চলে গেছে। এটা কোন ধরনের বিচার? আমি যদি অন্যায় করে থাকি, তাহলে আমাকে ধরুক। তো, আমি তো ওই দেশে (বাংলাদেশ) বিচার পাব না। আমি আমেরিকার নাগরিক, আমেরিকায় চলে এসেছি। কী করব?’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close