অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

  ১৪ মে, ২০২৪

বাংলাদেশ ব্যাংকের ভুল সিদ্ধান্তে বারবার নীতি পরিবর্তন

- মনজুরুর রহমান

সুদহার বাজারের ওপর ছেড়ে না দিয়ে ‘স্মার্ট’ (সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল) পদ্ধতি গ্রহণ এবং এক বছর না যেতেই তা বাতিল করায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল বলে মনে করেন পূবালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুরুর রহমান। একইসঙ্গে ব্যাংকগুলোকে জোর করে একীভূতকরণ প্রক্রিয়া সফল হবে না বলেও জানান তিনি। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে তফসিলি ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

এক বছর না যেতেই ‘স্মার্ট’ পদ্ধতি বাতিল ও সুদহার বেড়ে যাওয়া বিষয়ে মনজুরুর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তগুলো ভুল ছিল, তাই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে তারা। এর আগে এরকম ছিল না। এখন নীতিগত সিদ্ধান্তগুলো ফেল করছে। ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বারবার নীতি পরিবর্তনে বাধ্য হতে হচ্ছে। ব্যাংক খাতে একীভূতকরণে আতঙ্কিত ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ গ্রাহকরাও। এরই মধ্যে কোনো কোনো ব্যাংক থেকে আমানতও তুলে নিতে শুরু করেছেন অনেকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের জোর করে একীভূতকরণ প্রক্রিয়া সফল হবে না।

ডলারের দাম বাড়ায় দেশের রপ্তানিকারকরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বলেও জানান পূবালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, দেশে ডলার সংকট এখনো কাটেনি। উল্টো নতুন করে ডলারের দাম বেড়েছে। এতে রপ্তানিকারকদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ১১৭ টাকায়ও ডলার পাচ্ছেন না রপ্তানিকারকরা। তাদের কিনতে হচ্ছে আরো বেশি দামে। ডলারের দাম পুরোপুরি বাজারভিত্তিক না হওয়ায় এ সমস্যা হয়েছে। একই কথা বলেন ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) ও এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। তিনি বলেন, ডলারের দাম বাজারভিত্তিক করার বিকল্প নেই। অন্য দেশেও ডলারের দাম অনেক বেশি।

নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের এখানে এতদিনে জোর করে চাপিয়ে রাখা হয়েছে। এটা জোর করে আটকে রাখার কিছু নেই। ডলারের রেট ওঠানামা করবে এটাই স্বাভাবিক। দর সর্বোচ্চ উঠে গিয়ে পরবর্তী সময়ে নিদিষ্ট জায়গায় থেমে যাবে। এক দিনে এক লাফে ৭ টাকা দর বাড়ানোরও যথার্থ কারণ ছিল। কারণ ছাড়া কোনো কিছু হয় না বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক করে না। তিনি বলেন, ইন্টারেস্ট রেট পৃথিবীর কোথাও ফিক্সড করে দেওয়া হয় না। অর্থনীতি তার আপন গতিতে চলবে। হঠাৎই সব ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এমডিদের বাংলাদেশ ব্যাংকে ডাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাংকারদের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এজন্য ব্যাংক কর্তৃক হাসপাতাল নির্মানে ব্যাংকগুলোর ট্রাস্টি বোর্ডের ৫ জনকে নিয়ে বৈঠক ডাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close