নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৪ মে, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে মনোযোগ

ডোনাল্ড লু আসছেন আজ

টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনের পর অনেকটাই স্থিতিশীল। ফলে নতুন করে সরকার সব ধরনের বিরোধ এড়াতে মনোযোগী হচ্ছে। চীন ও ভারতের সঙ্গে সরকারের গভীর সম্পর্ক থাকায় আপাতত সেদিকে নজর নেই। তবে শক্তিধর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানাপড়নের ইতি টানতে চায় সরকার। টানাপড়েন দূর করে দেশটির সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের দিকে ধাবিত হচ্ছে সরকার। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে কিছুটা ছাড় দেওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে জোর প্রস্তুতি। র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর মার্কিন প্রশাসন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অতিমাত্রায় তৎপর এবং বিরোধী দলগুলো; বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিলে ক্ষুব্ধ হয় আওয়ামী লীগ সরকার। তারপর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতারা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন, যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়াসহ মানবাধিকার ইস্যুতে যখন-তখন বিবৃতি এবং বিরোধীপক্ষ; বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে গভীর সম্পর্ক বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটা দফারফাও করতে চায় সরকার। তাহলে সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের যে হুমকি বারবার যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছিল, তা দূর হবে। সেইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশ্রয়ের অভাবে সরকারের বিরোধী শক্তিগুলো আরো দুর্বল হয়ে পড়বে। ক্ষমতাসীন দলটির একাধিক নীতিনির্ধারক বলছেন, যেসব বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানাপড়েন রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে দেশটির কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এতে অগ্রাধিকার হিসেবে রয়েছে র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার।

সরকারের নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার এখনই উপযুক্ত সময়। কারণ একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনের পর বাংলাদেশ এখন অনেক বেশি স্থিতিশীল। এ সময় সরকার আর কোনো বিরোধে জড়াতে চায় না। এ পরিস্থিতির মধ্যে আজ আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। তার সফরকে কেন্দ্র করে সরকার সম্পর্ক স্বাভাবিক করার এ প্রস্তুতি নিচ্ছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত রবিবার ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আসবেন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক দিন দিন শক্তিশালী হতেই পারে। শ্রদ্ধা, সম্মান ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে এলে এ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। কারণ আমরা বিশ্বাস করি, সবার সঙ্গেই বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়।

এ বিষয়ে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, মার্কিন প্রশাসন বুঝতে পেরেছে চাপ দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে কিছু আদায় করা যাবে না। তাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই তারা বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়ে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আমাদের সরকারও পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে তাদের সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পররাষ্ট্রনীতি সবসময় একই আছে। সবার সঙ্গেই আমরা সুসম্পর্ক রাখতে চাই। আর যুক্তরাষ্ট্রের কথা তো আলাদা। র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরপরই সরকার এ ব্যাপারে সক্রিয় হয়। তখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত থাকায় আমি হলফ করে বলতে পারি, এখনো এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে। বর্তমানে পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে। ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ঢাকা ও ওয়াশিংটন সম্পর্কোন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা বেশ ভালোভাবেই উপলব্ধি করছে।

সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব জেনে বিদেশে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিতে পারে সরকার। এমনকি চীনকে মোকাবিলায় ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের যে চেষ্টা যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহত রেখেছে, সে বিষয়েও সহযোগিতার ইঙ্গিত দেওয়া হতে পারে। বিশেষ করে বিদ্রোহকবলিত অস্থির মিয়ানমারে আসছে দিনগুলোয় অন্য পরাশক্তির ভূমিকা কী হতে পারে, তা-ও বিবেচনায় নিতে হচ্ছে অভিজ্ঞ মহলকে। এর বাইরে রাশিয়া ও চীনের ওপর থেকে সামরিক নির্ভরতা কমিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়েও ইতিবাচক আশ্বাস দিতে পারে সরকার। তবে সব কিছুর আগে আওয়ামী লীগ সরকার চায় র‌্যাবের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করুক। এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আশ্বাস পেলেই তারা ছাড় দেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে জানাবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারের একাধিক নীতিনির্ধারক জানান, সংসদ নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। নির্বাচনের পর লুসহ মার্কিন সরকারের উচ্চপর্যায়ের কূটনীতিকদের সঙ্গেও সরকারের প্রতিনিধিরা যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। তিক্ততা ভুলে সম্পর্কোন্নয়নের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে সরকারের। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, পারস্পরিক সম্মান, শ্রদ্ধা এবং সহযোগিতার ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক অবশ্যই এগিয়ে নেওয়া যেতে পারে এবং প্রত্যাশিত ভূমিকার ফলে এ সম্পর্ক আগামীতে সুদৃঢ় হতে পারে।

বলা হচ্ছে, ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক জোরদার ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কের রূপরেখা নিয়ে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এ দফা বাংলাদেশে আসছেন। তবে ঢাকায় সরকারি মহল এ সফরে বিশেষ কিছু দেখছেন। সরকারের নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, সম্পর্ক জোরদারের আগে তা স্বাভাবিক করা এখন দুই পক্ষের কাছেই অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এ সফরে যুক্তরাষ্ট্র বর্তমান সরকারের ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করলে তারাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন। সেক্ষেত্রে অপ্রত্যাশিত ছাড় পেতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। সরকারি দলের নীতিনির্ধারকরা জানান, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখানো হবে। তবে এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকেই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্যোগ নিতে হবে।

শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ভারত ও শ্রীলঙ্কার পর দক্ষিণ এশিয়ায় ছয় দিনের সফরের শেষ সময়টা ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে কাটাবেন। সেখানে তিনি জলবায়ু সংকট মোকাবিলা এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীরকরণসহ মার্কিন-বাংলাদেশ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করবেন। দুদিনের সফরে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের কয়েকটি বৈঠক ও মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন তিনি। ডোনাল্ড লু পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।

আলোচনায় থাকছে ব্যবসা নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা : যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আজ মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন। এ সফরে তিনি ব্যবসা-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারসহ দুই দেশের অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা করবেন।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, আজ দিনের প্রথম ভাগে কলম্বো থেকে ডোনাল্ড লুর ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। গত জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে এটি তার প্রথম সফর।

ডোনাল্ড লু আজ রাতে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দেওয়া এক নৈশভোজে যোগ দেবেন। কাল বুধবার প্রথমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে ও পরে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন। পরে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তিন দিনের সফরে ডোনাল্ড লুর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময়ের কথা রয়েছে।

গতকাল সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা-ভিসানীতির মতো ইস্যুতে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে যে রেখাপাত হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা হবে। ডোনাল্ড লুর সফরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হবে।

ডোনাল্ড লুর সফরের বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবনা স্পষ্ট করেছেন। ওই চিঠির শুরুতে বাইডেন ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারত্বের পরবর্তী অধ্যায় শুরুর পর্ব’ শব্দগুলো ব্যবহার করেছেন; যা থেকে স্পষ্ট যে যুক্তরাষ্ট্র এখন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে মনোযোগ দিচ্ছে। আর অংশীদারত্বের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার হিসেবে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা; অর্থনৈতিক উন্নয়ন; জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি; বৈশ্বিক স্বাস্থ্য; মানবিক সহায়তা, বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যার মতো বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে। তাই ডোনাল্ড লু ঢাকায় এলে এ বিষয়গুলোর পাশাপাশি অন্য কোনো বিষয়গুলোতে যুক্তরাষ্ট্র অগ্রাধিকার দেবে, সে ধারণা পাওয়া যাবে।

তবে গত কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার সূত্র ধরে ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, গণতন্ত্র, নাগরিক অধিকারসহ সামগ্রিক মানবাধিকারের বিষয়গুলো যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম প্রধান উপাদান। তাই এ বিষয়গুলো আলোচনা থেকে হারিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিষয়গুলো তেমনভাবে আর প্রকাশ্যে আনছে না। এমনকি লুর বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতেও প্রসঙ্গগুলো নেই। তবে এ বিষয়গুলো যাতে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার পথে বাধা না হয়, তা বিবেচনায় নিয়ে সহযোগিতার অন্য উপাদানগুলো সামনে রেখেই এগিয়ে যেতে চাচ্ছে।

আরেক কর্মকর্তা আভাস দিয়েছেন, দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার পর্বে সামনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র শ্রম অধিকার সুরক্ষার বিষয়টিতে জোর দিতে পারে। ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা সফরে এসেছিলেন প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লুবাখার। তার সফরসঙ্গী হিসেবে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। গত মাসে বাংলাদেশ সফরে আসা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন টিকফা ফোরামের বৈঠকের পাশাপাশি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বৈঠকে শ্রম পরিস্থিতির উন্নয়নের তাগিদ দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র যখন ব্যবসা ও বিনিয়োগে জোর দিচ্ছে, সেখানে শ্রম পরিস্থিতির উন্নয়ন অন্যতম প্রধান উপাদান হিসেবে বিবেচনায় থাকবে বলে ঢাকার কর্মকর্তাদের মত।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close