অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

  ১৩ মে, ২০২৪

খেলাপি আদায়ে ব্যর্থতায় সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত বিডিবিএল

প্রায় সব সূচকে ভালো থাকলেও মার্জারের (একীভূতকরণ) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেলাপি ঋণ ৬ মাসের মধ্যে আদায় সম্ভব না। তাই রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল)। গতকাল রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নে এমনটা জানান বিডিবিএল চেয়ারম্যান শামীমা নার্গিস। এর আগে গভর্নরের উপস্থিতিতে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণের চুক্তি সই করে বিডিবিএল।

শামীমা নার্গিস বলেন, বিডিবিএলের চারটি সূচকের মধ্যে তিনটিই ভালো আছে শুধু একটিতে একটু দুর্বল, সেটা হচ্ছে খেলাপি ঋণ। আগে যেটা ৪১ শতাংশ ছিল, আমরা সেটা কমিয়ে ৩৪ শতাংশে নিয়ে এসেছি। মার্জারের যে নীতিমালা আছে, তাতে চারটি ইন্ডিকেটরের মধ্যে খেলাপি ঋণের বিষয়টা আলাদা গুরুত্বপূর্ণ।

শামীমা নার্গিস আরো বলেন, এক বছরে আমি ৪১ থেকে ৩৪ শতাংশে এসেছি। সেখান থেকে আগামী ছয় মাসে ৫, ১০ বা ১৫ শতাংশে আসা সম্ভব না। শুধু আমার কার্যক্রমে খেলাপি ঋণ আদায় হবে না, যার যে খেলাপি তাকেও এগিয়ে আসতে হবে। সে যদি এগিয়ে না আসে তার জামানত বিক্রি করতে হলেও আমাকে অর্থঋণ আদালত, অর্থ আদালত, মামলাসহ অনেক ধাপ অতিক্রম করে আসতে হবে। এগুলো কোনোভাবেই ছয় মাসে সম্ভব না।

বিডিবিএল সময় না নিয়ে কেন একীভূতকরণে যাচ্ছে এমন প্রশ্নে শামীমা নার্গিস বলেন, প্রাইভেট ব্যাংকগুলো যেমন গ্যারান্টি দিচ্ছে, আগামী এক বছরে এত হাজার কোটি টাকা ফিরিয়ে আনবে, আমি সেই গ্যারান্টি দিতে পারছি না। কারণ আমাদের ব্রাঞ্চের সংখ্যা কম, মাত্র ৫০টি। কাজেই আমি যে সময় নেব বাংলাদেশ ব্যাংক তো আর আমাকে ৫-১০ বছর সময় দেবে না।

একীভূতকরণে না যেতে বিডিবিএলের কর্মীদের খোলা চিঠির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিডিবিএল চেয়ারম্যান বলেন, এখানে দুই ব্যাংকের পর্ষদ মিলে একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কাজেই তারা অনেক কিছু প্লাস মাইনাস করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেটা ভালো হবে সেটা করা হয়েছে। সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী  বলেন, আমরা অনেক চিন্তা ভাবনা করেই একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা কোনো চাপের মুখে নয়, নিজেরাই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের দুই ব্যাংকের দুই ধরনের অভিজ্ঞতা আছে। সেগুলা কাজে লাগিয়ে আমরা এগিয়ে যাব। আজকে বিডিবিএলের চেয়ারম্যানও ছিলেন এখানে। তার কিছু প্রশ্ন ছিল। গভর্নর সেগুলোর সন্তোষজনক জবাব দিয়েছেন।

সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আফজাল করিম বলেন, সোনালী ব্যাংকের আমানত এই মুহূর্তে ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। অপরদিকে বিডিবিএলের ৩২০০ কোটি টাকা। যা প্রায় ৫০ ভাগের এক ভাগ। একই অবস্থা লোনের ক্ষেত্রেও। কাজেই এটা সোনালী ব্যাংকে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। আর বিডিবিএলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শঙ্কিত বা আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমাদের প্রায় ৮ হাজার কর্মী আছে তারপরও অনেক লোকবল কম আছে। অপরদিকে বিডিবিএলে ৬০০-এর মতো কর্মী আছে। সুতরাং তাদের শঙ্কার কিছু নেই।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close