বিশেষ প্রতিবেদক

  ১৩ মে, ২০২৪

শুল্ক বাড়ছে কোমল পানীয়ে!

কোমল পানীয়ে শুল্ক বসতে পারে আগামী অর্থবছরে। এখন আছে ৩ শতাংশ শুল্ক। তা বেড়ে হতে পারে ৫ শতাংশ। অন্যদিকে, আইসিটি খাতের করছাড় সুবিধা আরো কয়েক বছর বহাল থাকতে পারে। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খান গতকাল এনবিআরে বাজেটের বিশেষ বৈঠকে এসব ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বৈঠক সূত্র জানায়, চলতি বছরে অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের ফলে জনজীবনে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। তাপপ্রবাহের জেরে কোমল পানীয়ের বাণিজ্য বেড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ। এ সুযোগ নিতে চাচ্ছে এনবিআর। ফলে আসছে বাজেটে এ খাতের বিদ্যমান শুল্ক ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করতে চায় সংস্থাটি। এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, কোমল পানীয়র বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারেই বেড়েছে। এই পানীয় পানের কারণে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিও বাড়ছে। বেভারেজের ওপর গত বছরও এনবিআর ন্যূনতম করহার কমিয়ে ছিল। সেই সুফল জনগণ পায়নি। লাভের গুড় খেয়েছে ব্যবসায়ীরা। এ কারণে শুল্ক বাড়ানো হলে রাজস্ব আয় কিছুটা বাড়বে। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, এনবিআরের ওপর রাজস্ব আদায়ের চাপ আছে। এর আগে কোমল পানীয়র ওপর ন্যূনতম কর সর্বোচ্চ ১ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছিল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ট্রান্সকম বেভারেজেস, প্রাণ, আবদুল মোনেম এবং কোকাণ্ডকোলা বাংলাদেশ।

এই খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী তিন থেকে চার বছরে এ খাতে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ ও স্থানীয় বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ছাড়াবে। বিভিন্ন পর্যায়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ লোকের কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে এ খাতে। এখন করহার বাড়ালে তা দেশের অর্থনীতির জন্য সহায়ক হবে না। এতে কর আদায় বাড়ার পরিবর্তে কমতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। এ প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

বৈঠক সূত্র জানায়, আইএমএফের চাপ থাকলেও নতুন বাজেটে আইসিটি খাতের করছাড় সুবিধা বহাল রাখা হতে পারে। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী যেকোনো ভাবেই হোক সম্ভাবনাময় এ খাতের করছাড় সুবিধা আরো কয়েক বছর বহাল রাখার পক্ষে মত দেন। আইএমএফ চায় না আসছে জুনের পর আর কোনোভাবেই এ করছাড় বহাল রাখতে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close