নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৩ মে, ২০২৪

‘ভালো ফল পেতে অনেক কষ্ট করেছি’

টানা ড্রাম বাজছে। ড্রামের তালে তালে নাচছে শিক্ষার্থীরা। আনন্দ উদযাপনের এমন চিত্র দেখা গেল রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে। গতকাল রবিবার বেলা ১১টায় ফলাফল প্রকাশের পর থেকে নেচে-গেয়ে আনন্দে মেতে উঠে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি উচ্ছ্বসিত তাদের অভিভাবকরাও। ফলাফল প্রকাশের পর অভিভাবকদের একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরেন। ফোন করে আত্মীয়স্বজনকে ফল জানান। এমন চিত্র দেখা গেল রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে।

ফলাফল প্রকাশের আগে অল্প কয়েকজন শিক্ষার্থী বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এসেছিল। তবে ফলাফল প্রকাশের পরপরই দলে দলে শিক্ষার্থীরা আসতে শুরু করে। সবাই মিলে আনন্দে মেতে ওঠে।

সামিয়া তাসনিম জারা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে। সামিয়া বলছিল, ‘ভালো ফল করতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে ঘোরাফেরা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও ব্যবহার করতাম না। অনেক কিছু বাদ দিয়ে পড়াশোনা করেছি। এখন ভালো রেজাল্ট করায় অনেক আনন্দ লাগছে।’

এসএসসিতে মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে শামসিয়া আলম। বন্ধুদের সঙ্গে ড্রামের তালে নাচছিল সে। এক ফাঁকে শামসিয়া বলে, ‘ফলাফল যখন পাই, তখন আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল, এটা বোধহয় অন্য কারো রেজাল্ট। আমার এত আনন্দ হচ্ছে, বোঝাতে পারব না।’ মা-বাবা সব সময় পাশে থেকেছেন বলে জানায় সে।

মুনিরা জামান নামের আরেক শিক্ষার্থী আনন্দ করছিল। মুনিরা জানায়, সেসহ ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা ভালো ফল করেছে। কিন্তু বাসা দূরে হওয়ায় ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের কেউ আসেনি। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে মুনিরা।

ফলাফল জানতে মা, দাদু আর ভাইকে নিয়ে বিদ্যালয়ে এসেছে মারিয়া জামান। সে বলছিল, ‘দুই বছর অনেক পরিশ্রম করেছি। তার ফল পেয়েছি। খুবই ভালো লাগছে।’

খাদিজা খাতুন গৃহিণী। দুই মেয়ে তার। এক মেয়ে ভিকারুননিসায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। আরেকজন এবার এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে।

বিদ্যালয় থেকে ছোট মেয়েকে নিতে এসেছিলেন খাদিজা। ততক্ষণে বড় মেয়ের ফলাফলের খবর পেয়ে গেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার যে কী খুশি লাগছে। আমাদের ১০ বছরের পরিশ্রম সফল হলো।’

খাদিজা খাতুনকে এসে জড়িয়ে ধরেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের আরেকজন অভিভাবক। তার মেয়েও এবার ভালো ফল করেছে। জান্নাতুল বলেন, এর চেয়ে খুশির খবর আর কিছু নেই। জান্নাতুল আরো বলেন, মেয়ে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে।

নুরুন নাহার নামের এক অভিভাবক বললেন, মেয়ে জিপিএ ৫ পাওয়ায় তার যে আনন্দ হচ্ছে, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close