আজ বিশ্ব ‘মা দিবস’। শব্দটি ছোট্ট হলেও বিশাল তার পরিধি! সৃষ্টির সেই আদিলগ্ন থেকে মধুর মা শব্দটা শুধু মমতার নয়, ক্ষমতারও যেন সর্বোচ্চ আধার। জীবনের যেকোনো সাফল্যে মায়ের অবদান যেন সীমাহীন। পৃথিবীর অনেক মানুষেরই জীবনের শ্রেষ্ঠ অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেন তাদের ‘মা’।

শোবিজ অঙ্গনের তারকারাদের কাছেও মায়ের অবদান অপরিসীম। এই দিনটি উপলক্ষে সন্তানদের সাফল্যে মায়ের হাতে পুরস্কার দেখে অনেকটা আবেগ আপ্লুত অনেক তারকাই। মা দিবস উপলক্ষে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃতীয়বারের মতো বর্ণাঢ্য আয়োজনে দেওয়া হয় পারফেক্ট ইলেকট্রনিকস নিবেদিত ‘মা পদক ২০২৪’। সেখানেই তারকাদের মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই পদক। ‘আলী-রূপা ফাউন্ডেশন’র সার্বিক তত্ত্বাবধান ও পৃষ্ঠপোষকতায় এই আয়োজনের উদ্যোক্তা সাংবাদিক অভি মঈনুদ্দীন।

এবার কিংবদন্তি অভিনেত্রী আনোয়ারা বেগম, সংসদ সদস্য ও অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদের মাসহ কোরিওগ্রাফার, নৃত্যনির্দেশক-নৃত্যশিল্পী শামীম আরা নিপা, শিক্ষক গোলাম জিলানী, ড. মুক্তা সাহা, শান্তা সরকার, অভিনেত্রী রিচি সোলায়মান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, কেয়া পায়েল, অভিনেতা ইন্তেখাব দিনার, এফ এস নাঈম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শেখ হাফিজুর রহমান, কথাসাহিত্যিক-নাট্যকার জমির উদ্দিন মিলন, নায়ক ইমন, নায়িকা মিম, গায়ক ইউসুফ, গায়িকা লুইপা, উপস্থাপিকা রুহানী লাবণ্য, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সহকারী কমিশনার সাইদুল ইসলাম সাঈদ, সাংবাদিক অভি মঈনুদ্দীন ও সাদিয়া ন্যানসির মায়ের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। শান্তা জাহানের উপস্থাপনায় রাজধানীর নিকুঞ্জতে অবস্থিত হোটেল রিজেন্সির বলরুমে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ। পারফেক্ট ইলেকট্রনিকসের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও গোলাম শাহরিয়ার কবির

অনুষ্ঠানে প্রত্যেক মাকে মেডেল পরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান, ফাউন্ডেশনের পক্ষে উপহার দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি আমেরিকান কালার কসমেটিক ব্র্যান্ড ‘হারল্যান’র পক্ষ থেকেও উপহার দেওয়া হয়। পদক প্রদান শেষে বিদ্যা সিনহা মিমের মায়ের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটেন সবাই, যা অনুষ্ঠানকে আরো আলোকিত করে তোলে। এ সময় প্রধান অতিথি অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম বলেন, ‘সব গর্বিত সন্তানের মায়েদের হাতে মা পদক তুলে দিতে পেরে ভালো লেগেছে। মায়েদের কষ্টের কারণেই কিন্তু সন্তানরা সফল হয় এবং মায়েরা সম্মানিত হলেন, আজ তাদের উজ্জ্বল মুখ দেখতে পাচ্ছি।’

ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘অভি মঈনুদ্দীনের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। আমার আম্মাও এই আয়োজনে সম্মাননা পেলেন, তাও আবার আমার সাফল্যের কারণে, এক জীবনে এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে। শুধু একটাই আশা, আমরা বাংলাদেশে কোনো বৃদ্ধাশ্রম চাই না। সব মা-বাবা তাদের সন্তানদের সঙ্গে থাকুক, পরিবারের সঙ্গে থাকুক।’ অনুষ্ঠানের শেষপর্যায়ে সংগীত পরিবেশন করেন রাশেদ, ইউসুফ, লুইপা, লাবণ্য ও মিথিলা।

"