নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৯ এপ্রিল, ২০২৪

প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ

দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের প্রধান জামাত হবে সুপ্রিম কোর্টসংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। সেখানে রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ঈদের নামাজ আদায় করে থাকেন। ঈদের জামাতের জন্য প্রায় প্রস্তুত করা হয়েছে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত হবে। এবারও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পর্যায়ক্রমে ঈদের নামাজের ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। চাঁদ দেখাসাপেক্ষে আগামী ১০ বা ১১ এপ্রিল ঈদুল বাংলাদেশে ফিতর উদযাপিত হবে। সরেজমিন দেখা গেছে, ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান সম্পূর্ণ প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তা তদারকির জন্য প্রধান গেটের পাশে এলিট ফোর্স-র‌্যাবের কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া নামাজ পড়তে গিয়ে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য সিভিল সার্জন অফিসের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য বুথ স্থাপন করা হয়েছে। লাইট, ফ্যান ও মাঠের সীমানাঘেঁষে সাদা কাপড় টানানোর কাজ চলছিল। পানি নিষ্কাশনসহ বৃষ্টি হলে মুসল্লিরা যেন নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করতে পারেন, তার কাজও চলছিল। পুরুষের পাশাপাশি থাকছে নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা। তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী অজুখানা। প্যান্ডেলজুড়ে মাইক, বিদ্যুৎ সংযোগ, ফ্যান ও সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজও শেষ হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য ঈদগাহজুড়ে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক দৃষ্টি। প্রস্তুত করা হয়েছে সিসি টিভি ও কন্ট্রোলরুম।

২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় করবেন। এছাড়া ঈদগাহের বাইরে এলাকাজুড়ে মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন। জাতীয় ঈদগাহ মাঠের জামাতে লাখো মুসল্লির সমাগম ঘটে। ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশের জন্য ভিআইপি গেট থাকছে একটি। পাশাপাশি জনসাধারণের জন্য একটি ও নারীদের প্রবেশের জন্য পৃথক একটি গেট রাখা হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু বকর সিদ্দীক বলেন, আবহাওয়া অনুকূল থাকলে জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া বৈরী থাকলে ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতি বছরের মতো এবারও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ঈদের নামাজের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ১ ঘণ্টা পরপর অনুষ্ঠিত হবে এসব জামাত। জামাতগুলোয় পৃথক পৃথক আলেমরা ইমাম ও মুকাব্বিরের দায়িত্ব পালন করবেন। ইসলামী ফাউন্ডেশনের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। এতে ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান এবং মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন ক্বারী মো. ইসহাক মুয়াজ্জিন। দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল ৮টায়। ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. এহসানুল হক ও মুকাব্বির থাকবেন খাদেম মো. আবদুল হাদী। তৃতীয় জামাত হবে সকাল ৯টায়। এতে বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম ইমাম হিসেবে এবং খাদেম মো. আবদুল হাদী মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন।

সকাল ১০টায় অনুষ্ঠেয় চতুর্থ জামাতে ইমাম হিসেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী ও মুকাব্বির হিসেবে বায়তুল মোকাররমের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন থাকবেন। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। এতে ইমাম হিসেবে থাকবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন এবং মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররমের খাদেম মো. রুহুল আমিন। এ পাঁচটি জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close