বান্দরবান ও নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি

  ৩১ মার্চ, ২০২৪

মিয়ানমারের তিন সেনা ঢুকল বাংলাদেশে

আবারও বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো মিয়ানমারের এক সেনা কর্মকর্তাসহ বাহিনীর তিন সদস্য। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে গতকাল শনিবার ভোর ৫টার দিকে তারা বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। পরে তাদের নিরস্ত্র করে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি জোন সদরে নিয়ে আসা হয়।

মিয়ানমারের বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষে টিকতে না পেরে সে দেশের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), সেনাবাহিনীর সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তারা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিতে থাকে। গত তিন সপ্তাহে মিয়ানমার থেকে ১৭৭ জন বিজিপি ও তিন সেনাবাহিনীর সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভোর বেলা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিন সদস্য বাংলাদেশ অভ্যন্তরে আশ্রয় নিলে বিজিবি তাদের নিরস্ত্র করে হেফাজতে নিয়েছে।

এদিকে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের সেনা ক্যাম্পগুলো এরই মধ্যে আরাকান আর্মি দখলে গেছে।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, শনিবার ভোরে নতুন আগত মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিন সদস্যকে নিরস্ত্র করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। এর আগে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১৭৭ জন সদস্য বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি বর্ডার গার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। দ্রুত সময়ে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসে ১৭৭ জন মিয়ানমার বর্ডার পুলিশ-বিজিপি সদস্যরা। ৪ ফেব্রুয়ারি কয়েক ধাপে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য, শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জন নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজারের উখিয়া এবং টেকনাফ সীমান্তে দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। পরে যাচাই-বাছাই শেষে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কক্সবাজারের ইনানীর নৌ-বাহিনীর জেটিঘাট দিয়ে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close