জাহিদুল ইসলাম

  ৩১ মার্চ, ২০২৪

কিনলেই ধরা, পুঁজিবাজারে বন্ধ কোম্পানির শেয়ার

আর্থিক লোকসানে থাকায় একের পর এক বন্ধ হয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ছয়টি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন নিয়ে একাধিকবার বিনিয়োগকারী ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে সতর্ক করেছে সংশ্লিষ্ট নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান। এরপরও এসব হায় হায় কোম্পানির শেয়ারের ব্যাপারে নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলেও এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার নিয়ে চলছে কারসাজি, এ কারসাজির ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। এমন প্রেক্ষাপটে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণে কী পদক্ষেপ নিয়েছে বিএসইসি, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। উঠেছে প্রশ্ন। এ ছাড়া পুঁজিবাজারে কারসাজি নিয়ন্ত্রণে বিএসইসির উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা।

ক্রমাগত লোকসানে পড়ে গত দেড় বছরে বন্ধ হয়েছে নর্দান জুট ম্যানুফেকচার, ফ্যামিলিটেক্স (বিডি), দুলামিয়া কটন, রিজেন্ট টেক্সটাইল, উসমানিয়া গ্লাসশিট এবং খুলনা প্রিন্টি অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড। লোকসানি এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর আচমকা অস্বাভাবিক বাড়তে থাকে। এই হঠাৎ দর বৃদ্ধির কারণ জানতে বিভিন্ন সময়ে ডিএসইর পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হলেও এসব চিঠির কোনো জবাব দেয়নি প্রতিষ্ঠানগুলো। এরপর গত বছর থেকে চলতি বছর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম পরিদর্শনে গেলে এদের কারখানা ও হেড অফিস বন্ধ পায় ডিএসই। অথচ এখনো প্রতিষ্ঠানগুলো তালিকাভুক্ত থেকে শেয়ার লেনদেন করে যাচ্ছে। কোন কোনটির শেয়ার দর হচ্ছে অতিমূল্যায়িত। দৃশ্যমান কার্যক্রম না থাকলেও এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার নিয়মিত লেনদেন হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ।

২০১০ সালে পুঁজিবাজারে এক ভুক্তভোগী বিনিয়োগকারী মো. সাইফুর রহমান ভূঁইয়া এই প্রতিবেদককে বলেন, যেসব কোম্পানির অস্তিত্বই নেই, দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে কারখানা- সেসব কোম্পানির শেয়ারদর কীভাবে বাড়ে বা কমে? ক্রমাগত লেনদেনের পর শেষ পর্যন্ত যাদের কাছে ওই কোম্পানির শেয়ার থাকবে তারাই-বা তখন কী করবেন? ফলে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থা সব জেনেও কেন এসব কোম্পানিকে ডি-লিস্টিং (শেয়ার বাজার থেকে নাম কেটে দেওয়া) করছেন না। তিনি বলেন, ব্যবসায় ঝুঁকি থাকে, লাভণ্ডলোকসান থাকে। কিন্তু যে প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্বই নেই তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয় কেন? এর তদারকি কেন কেউ করছে না? সরকার কী এসব দেখে না।

ফ্যাক্টরি বন্ধ থাকলেও লেনদেন চালু আছে এমন একটি প্রতিষ্ঠান খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে ৭৩ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনে প্রতিষ্ঠানটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে কার্যক্রম শুরু করে। গত বছরের অক্টোবরেও যে শেয়ার ছিল ৯ টাকা ৩০ পয়সা, ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার পর গত ৫ ফেব্রুয়ারি সেটি সর্বোচ্চ ৫৬ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠে। অবশ্য সর্বশেষ গত ২৫ মার্চ শেয়ার দর ছিল ২৮ টাকা ৭০ পয়সা। চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি ডিএসই থেকে প্রতিষ্ঠানটির কারখানা পরিদর্শনে গেলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এরপরই বিনিয়োগকারীদের ওই কোম্পানির শেয়ার ক্রয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে স্টক ব্রোকার্স এবং মার্চেন্ট ব্যাংকারদের প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার ক্রয়ের ক্ষেত্রে ঋণ প্রদান সুবিধা বন্ধ করতে সতর্ক করা হয়।

এর আগেই নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করেছিল কোম্পানিটির অডিট ফার্ম। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ‘কোয়ালিফাইড’ মন্তব্য দিয়ে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান জানায়, আর্থিক প্রতিবেদনের প্রফিট অর লস অ্যান্ড আদার কম্প্রিহেনসিভ ইনকাম স্টেটমেন্টে নিট লস হয়েছে ২২ কোটি ৬৩ লাখ ১২ হাজার ৪১৫ টাকা। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে বস্তুগত অনিশ্চয়তা বিদ্যমান, যার ফলে বিভিন্ন বছরে কোম্পানির নিট লস হওয়ায় শেয়ারহোল্ডার ইক্যুয়িটি, রিটেইন্ড আর্নস, এনএভি, কর-পরবর্তী মুনাফা এবং ইপিএস ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে। প্রতিষ্ঠানটির রিজার্ভ ঘাটতি আছে ৮৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এ ছাড়া স্বল্পমেয়াদি ঋণ ২৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা এবং দীর্ঘমেয়াদি ঋণ রয়েছে ৩১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। তবে এরপরও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) পদক্ষেপ নেয়নি।

ডিএসইর পরিদর্শনে বন্ধ পাওয়া আরেক প্রতিষ্ঠান উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টরি লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকার মধ্যে পরিশোধিত ১৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা। মোট ১ কোটি ৭৪ লাখ ১০ হাজার ৯০০ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের ২ শতাংশ, বাংলাদেশ সরকার ৫১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৩৩ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে ডিএসই তদন্তদল পরিদর্শনে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কারখানা বন্ধ পায়। অথচ গত দেড় বছর যাবত ফ্লোর প্রাইসের অবস্থার মধ্যেও প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার নিয়মিত লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে গত বছরের ২৯ মে সর্বোচ্চ শেয়ারদর ৬৬ টাকায় উঠলেও সর্বশেষ গত ২৫ মার্চ ৪৪ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হয়। এ সময়ের মধ্যে গত ১৪ নভেম্বর সবচেয়ে বেশি ১ লাখ ৭০ হাজার ৩১০টি শেয়ার লেনদেন হয়। অথচ প্রতিষ্ঠানটি সর্বশেষ ২০১৮ সালে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে।

ডিএসইর তথ্যানুসারে প্রতিষ্ঠানটির রিজার্ভ ঘাটতি আছে ৫৯ কোটি ২ লাখ টাকা। ২০১৮ সাল থেকে ক্রমাগত রিজার্ভ ও শেয়ারহোল্ডার ইক্যুয়িটি কমতে থাকায় লোকসানে পড়ে বন্ধ হয়ে যায় এর কার্যক্রম। তবে এখনো লেনদেন অব্যাহত থাকায় নেপথ্যে কেউ কলকাঠি নাড়ছে কি না- সেটি ভাবিয়ে তুলেছে বাজার বিশ্লেষকদের।

বন্ধ হওয়া আরেক প্রতিষ্ঠান রিজেন্ট টেক্সটাইল। সর্বশেষ ২০২০ সালে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১ শতাংশ নগদ ও ১ শতাংশ স্টকসহ মোট ২ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদান করে। ডিএসইর তথ্যানুসারে, প্রতিষ্ঠানটির ১৪০ কোটি টাকা রিজার্ভের বিপরীতে ঋণ আছে ২২৪ কোটি টাকা। এরপরও গত ২৩ জানুয়ারি সর্বোচ্চ ১৪ লাখ ৩ হাজার ৩৭১টি এবং ৮ ফেব্রুয়ারি ১০ লাখ ১০ হাজার ১৮০টি শেয়ার লেনদেন হয়। এই প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও শেয়ার ক্রয়ে কোনো প্রকার ঋণপ্রদান সুবিধা না দিতে স্টক ব্রোকার্স এবং মার্চেন্ট ব্যাংকারদের সতর্ক করেছিল ডিএসই।

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা আরেক প্রতিষ্ঠান মাল্টিমুড গ্রুপের দুলামিয়া কটন। অনুমোদিত মূলধন ৩০ কোটি টাকার বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন মাত্র ৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। অথচ প্রতিষ্ঠানটির লোকসানই রয়েছে ৩৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা এবং দীর্ঘমেয়াদি ঋণ আছে ৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানটি সর্বশেষ কবে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিয়েছে তার তথ্য নেই ডিএসইর কাছে। তবে এরপর বেড়েছে শেয়ারের দাম।

ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর গত ১ ফেব্রুয়ারি সর্বনিম্ন দর ৫৫ টাকা ৬০ পয়সায় নামে শেয়ারের দাম। তবে এরপর ক্রমাগত বেড়ে গত ২৪ মার্চ ৭১ টাকা ৪০ পয়সায় বৃদ্ধি পায়। এ সময় লেনদেন হয়েছে ৩৮ হাজার ২২০টি শেয়ার। জেড ক্যাটাগরিতে থাকা একটি বন্ধ কোম্পানির শেয়ারদর কারা এভাবে বাড়াচ্ছে সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এখানে যে কারসাজি চলছে তা বোঝা যায়।

বন্ধ হওয়া প্রতিষ্ঠান ফ্যামিলি টেক্স (বিডি) লিমিটেডের মোট ৩৫ কোটি ৪১ লাখ ৬০ হাজার ৩৮৮টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে মাত্র ৪ দশমিক ২ শতাংশ। বিপরীতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৭৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। ২০১৩ সালে তালিকাভুক্তির পর থেকে বিনিয়োগকারীদের কোনো নগদ লভ্যাংশ দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। সর্বশেষ ২০১৮ সালে মাত্র ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ প্রদান করে। প্রতিষ্ঠানটির স্বল্পমেয়াদি ঋণ হিসেবে ৩১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা রয়েছে। ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার পর গত ২৯ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩ টাকায় নেমে আসে। কিন্তু এরপর গত ১১ ফেব্রুয়ারি আবার দর বেড়ে ৪ টাকা ৭০ পয়সায় দাঁড়ায়।

প্রতিষ্ঠানটির কারখানা পরিদর্শনে গেলে সেটি সিলগালা অবস্থায় পায় ডিএসই। এ ছাড়া প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনে গেলে সেখানে ফ্যামিলি টেক্সের পরিবর্তে ওলিলা গ্লাস ফ্যাক্টরি নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলছে বলে জানা যায়।

আরেক বন্ধ কোম্পানি নর্দান জুট ম্যানুফেকচারিং লিমিটেড। মাত্র ১০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের প্রতিষ্ঠানটিতে পরিশোধিত মূলধন ২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। তবে স্বল্পমেয়াদি ঋণ আছে ৬০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং দীর্ঘমেয়াদি ঋণ আছে ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির মোট ২১ লাখ ৪২ হাজার শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে মাত্র ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। বাদবাকি ৮৪ দশমিক ৯১ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। মাত্র ২ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানির শেয়ারদর গত বছরের ৪ জুন সর্বোচ্চ ৩৩৬ টাকা ৭০ পয়সা ওঠে। তবে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার পর গত ২৫ মার্চ সর্বনিম্ন ১৫০ টাকা ২০ পয়সায় নামে।

ডিএসই থেকে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম পরিদর্শনে গেলে তা পুরোপুরি বন্ধ পাওয়া যায়। অন্যদিকে প্রধান কার্যালয়ে গেলে সেখানে নর্দান জুটের পরিবর্তে ওএমসি লিমিটেড নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলমান দেখতে পায় ডিএসই পরিদর্শন দলটি।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আবু আহমেদ এ বিষয়ে প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, পুঁজিবাজারের কিছু জুয়াড়ি শেয়ার দর হ্রাস-বৃদ্ধির পেছনে কাজ করে। তাদের সিন্ডিকেট আছে। প্রতিষ্ঠান বন্ধ না খোলা, এটা নিয়ে তারা মাথা ঘামায় না। তারা শুধু দেখে শেয়ারদর উঠবে কি না। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের লোভের মধ্যে ফেলে পরে তারা সটকে পড়ে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বন্ধ কোম্পানির বিষয়ে কেন পদক্ষেপ নিচ্ছে না- এমন প্রশ্নে বলেন, অন্য দেশে হলে এত দিনে নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দিত, ডি-লিস্টিং করত। এখন এ দেশে সেটা না হলে আর কী করার আছে? যেহেতু কোম্পানিগুলো লিস্টেড তাই কারসাজি চক্রকেও কিছু বলা যাচ্ছে না। মূলত লং টার্মে যারা বিনিয়োগ করে তারা এসব শেয়ারে ঢুকে না। যারা শর্ট টার্মে গেইন করতে চায় তারা এসব করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আল-আমিন এ বিষয়ে বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে বলা হচ্ছে এই মুহূর্তে বাজারের যে পরিস্থিতি তাতে যদি এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় তবে তা নেগেটিভ প্রভাব ফেলতে পারে। আমার ধারনা, এসব শেয়ার কিনছে মূলত পুঁজিবাজেরের ভেলকিবাজরা। হয়তো তাদের কাছে ভেতরের খবর আছে যেগুলো এখনো প্রকাশ পায়নি। নৈতিকতার দিক থেকে বলতে গেলে এসব বন্ধ কোম্পানিকে ট্রেড সাসপেন্ড না করে স্পট লেনদেনে নিয়ে আসা দরকার।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ বিষয়ে প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাজ হলো কোম্পানির প্রকৃত আর্থিক অবস্থা বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরা। বেআইনি কিছু থাকলে পদক্ষেপ নেওয়া। তবে বিনিয়োগকারীদের বিচার-বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগ করা উচিত। বাজার কারসাজিতে কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া নিয়ন্ত্রক সংস্থার দায়িত্ব। কিন্তু বিনিয়োগকারীরা যদি ফটকাবাজদের খপ্পরে পড়ে বিনিয়োগ করে সেক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থার করার কিছু থাকে না। আমরা এসব বিষয়ে নিয়মিত বিনিয়োগকারীদের সচেতন করে যাচ্ছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close