অধিকৃত পূর্ব ইউক্রেনের একটি প্রশিক্ষণ এলাকায় জোড়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৬০ রুশ সেনা নিহত হয়েছেন। হামলায় আরো বহু রুশ সেনা আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলে রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হতাহতের এ ঘটনা ঘটেছে। খবর বিবিসির।

ইউক্রেনের নিরাপত্তা সূত্র হামলার ঘটনার বিষয়ে বলেছে, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ এক কমান্ডার দোনেৎস্ক অঞ্চলে পৌঁছানোর কথা ছিল। তার আগে সেখানকার একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে রুশ সেনারা জড়ো হয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ শিবিরের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে অনেকের মরদেহ পড়ে আছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর সাক্ষাতের কয়েক ঘণ্টা আগে হামলার এ ঘটনা ঘটেছে।

পরে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে দোনেৎস্কের ওই অঞ্চলসহ কয়েকটি এলাকায় রাশিয়ার সামরিক বাহিনী সফল হয়েছে। সম্প্রতি ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে রুশ সেনাদের আভদিভকা শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছেন তারা। তবে দোনেৎস্কের ট্রুডোভস্কি গ্রামের কাছের এ হামলার বিষয়ে রাশিয়া অথবা ইউক্রেন- কোনো দেশই আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, রাশিয়ার ৩৬তম মোটরচালিত রাইফেল ব্রিগেডের সদস্যরা সাইবেরিয়ার ট্রান্সবাইকাল অঞ্চলে অবস্থিত পূর্ব সামরিক অঞ্চলের ২৯তম সেনা কমান্ডের মেজর জেনারেল ওলেগ মোইসিয়েভের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

হামলায় বেঁচে যাওয়া এক সেনা বলেন, ৩৬তম রাইফেল ব্রিগেডের কমান্ডাররা সেনাদের উন্মুক্ত স্থানে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি হাইমারস ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থার মাধ্যমে সেনাদের লক্ষ্য করে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা ভিডিওতে দেখা যায়, হামলার পর ঘটনাস্থলে কয়েক ডজন সেনার মরদেহ পড়ে আছে। হামলায় আহত দুই সেনা বলেন, অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছেন। তবে হামলার এসব ভিডিওর সত্যতা এখনো যাচাই করা যায়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি।

"