নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিজিএমইএ নেতাদের সাক্ষাৎ

রপ্তানি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

৩ পণ্যের জিআই সনদ গ্রহণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রপ্তানি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, বাজার সম্প্রসারণের পাশাপাশি পণ্যের উৎপাদনও বহুমুখী করতে হবে। গতকাল রবিবার বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) নেতারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে ব্যবসায়ীদের বিশেষ মনোযোগ দেওয়ারও আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম শাখাওয়াত মুন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বৈঠকে বিজিএমইএ প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীকে ব্যবসা-বাণিজ্য, রপ্তানি ও সাম্প্রতিক বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন। তারা বৈশ্বিক পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন কারণে সৃষ্ট কিছু সমস্যার কথা উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন ও যত দ্রুত সম্ভব তা সমাধানের আশ্বাস দেন। প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, সাবেক সভাপতি ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি, সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শিদী, শফিউল ইসলাম ও সিদ্দিকুর রহমানসহ সংগঠনের নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে টাঙ্গাইল শাড়ি, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লার ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির সনদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়। শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ও সচিব জাকিয়া সুলতানা গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রী পরিষদের সভার শুরুতে এই তিন পণ্যের জিআই সনদ সরকারপ্রধানের হাতে তুলে দেন।

এরপর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের কবিতার বই ‘পিতারই প্রতিচ্ছবি’ বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) সম্প্রতি টাঙ্গাইলের শাড়ি, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লার জিআই স্বীকৃতির গেজেট প্রকাশ করে।

ভারতের শিল্প মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ‘বাংলার টাঙ্গাইল শাড়ি’ বা ‘টাঙ্গাইল শাড়ি অব বেঙ্গল’ নামে একটি শাড়িকে জিআই স্বীকৃতি দেয়। ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশন (ডব্লিউআইপিও)-এর কাছ থেকে অনুমোদনও পেয়ে যায় তারা। বিষয়টি বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। টাঙ্গাইল বাংলাদেশের এলাকা এবং টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হওয়ার পরও ভারত কীভাবে তা নিজেদের পণ্য হিসেবে জিআই স্বীকৃতি পায়, সেট প্রশ্ন তোলেন শাড়ির ব্যবসায়ী, আইনজ্ঞ ও অধিকার কর্মীরা। এরপর বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো উদ্যোগী হয়। টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন ৬ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতির আবেদন করে। পরে তা অনুমোদন করে গেজেট প্রকাশ করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close